ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ইমরানের মতো আরও যেসব ক্রীড়াবীদ রাজনীতিতে সফলতা পেয়েছেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৯:২৭, ১৮ আগস্ট ২০১৮

আজ শনিবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ইমরান খান। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ইমরান খান এবার জিতেছেন ব্যালট যুদ্ধও। তবে পৃথিবীতে একমাত্র ক্রীড়াবীদ ইমরানই নন যারা এমন সফলতা পেয়েছেন। ইমরানের মতো আরও যারা আছেন তাদের নিয়েই এবারের আয়োজন।

জর্জ উইয়াহ

ইমরানের বিপরীতে যোগ্য এক উদাহরণ হতে পারেন জর্জ উইয়াহ। গত জানুয়ারিতে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন দেশটির সাবেক এই ফুটবলার।

যুদ্ধবিধ্বস্ত মনরোভার এক বস্তিতে ফুটবলের সাথে প্রথম পরিচয় হয় জর্জের। সেখান থেকে পুরো আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম সেরা এক ফুটবলারে নিজেকে পরিণত করেন জর্জ উইয়াহ। শুধু ইউরোপের স্বনামধন্য ক্লাবগুলোতে খেলেছেন তাই নয় বরং নির্বাচিত হয়েছে ফিফা’র বর্ষসেরা পুরস্কার। এছাড়াও জিতেছেন ব্যালন ডি অর পুরস্কারও।

২০০৫ সালে একবার ব্যর্থ হলেও প্রায় এক যুগ পর ঠিকই প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় লাভ করেন জর্জ উইয়াহ।

আরনল্ড শোয়েজনেগার

হলিউড অভিনেতা থেকে হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর। তবে তারও আগে ছিলেন বডিবিল্ডার। অস্ট্রিয়া বংশোদ্ভুত এই মার্কিন অভিনেতা পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে জিতেছিলেন ‘মিস্টার ইউনিভার্স’ এর পদক।

মার্কিন রিপাবলিকান দলের হয়ে ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচিত হন ‘টারমিনেটর’ খ্যাত শোয়েজনেগার। একবার নয় পরপর দুই বার দুই মেয়াদে এই পদে আসীন ছিলেন তিনি।

অর্জুনা রানাতুঙ্গা

১৯৯২ সালে পাকিস্তানের জন্য যে গৌরব অর্জন করেছিলেন ইমরান খান, শ্রীলংকার হয়ে ১৯৯৬ সালে সেটি অর্জন করেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা। ২২ গজের মাঠ থেকে অবসরের পরপরই শ্রীলংকার রাজনীতিতে সক্রিয় হন রানাতুঙ্গা। বেশ কয়েক বছর বিরোধী দলে থাকার পর মন্ত্রীসভায় ডাক পেয়েছিলেন তিনি। দায়িত্ব নিয়েছিলেন শ্রীলংকার জুনিয়র পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে।

২০১৫ সালে শ্রীলংকার প্রথম কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড় ছিলেন এমন ব্যক্তি হিসেবে পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদা পান। বর্তমানে দেশটির জ্বালানী মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন রানাতুঙ্গা।

ম্যানি প্যাকিয়াও

দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা ম্যানি প্যাকিয়াও ফিলিপিনোদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম। আটটি ভিন্ন ওজন ক্যাটাগরিতে ১২টি বক্সিং বিশ্বশিরোপা জিতেছেন এই ক্রীড়াবীদ। বক্সিং রিং এর মতোই সফল ক্যারিয়ার গড়েছেন রাজনীতিতেও।

২০১২ সালে ক্রিশ্চিয়ানিটি নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি। অবশ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলে ভালো টাকায় যোগদানের সুযোগ ছিলো তাঁর কাছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে নিজেই দল গঠন করেন রক্ষণশীল ধরণের ম্যানি।

প্রথমে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৬ সালে জায়গা পান সিনেটে। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নাম শোনা যাছে ম্যানি প্যাকিয়াও এর।

ভিতালি ক্লিতচকো

পাক্কা দুই মিটার (৬ ফিট ৬ ইঞ্চি) উচ্চতা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিতচকো’র। তবে মেয়র হওয়ার আগে ছিলেন বক্সিং রিং এর চ্যাম্পিয়ন।

রিং-এ কখনো নকআউট না হওয়া ভিতালিকে বক্সিং খেলার ‘গুরু’ মানা হয়। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ভাষায় কথা বলতে পারদর্শী ভিতালির আছে ‘ডক্টরেট’ ড্রিগ্রীও। স্পোর্টস সায়েন্সে পিএইচডি করেছেন এই ক্রীড়াবীদ।

২০১৪ সালে কিয়েভের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। এখন অবশ্য মনে করেন, মেয়র হওয়ার থেকে বক্সার হওয়া সহজ। চলতি বছরের শুরুতে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “কিয়েভের মেয়র হওয়ার থেকে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হওয়া অনেক সহজ। এটি (মেয়র পদ) আপনাকে পিছন থেকে আঘাত করবে, কোমড়ের নিচে আঘাত করবে। এটা সত্যিই কঠিন”।

সূত্রঃ ডন

//এস এইচ এস//

  

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি