ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ কেমন প্রতারণা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ২৩ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:১৬, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

চিরিরবন্দরে উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে আরেফা খাতুন। গত ১ বছর আগে তার বিয়ে হয় চিরিরবন্দরে রেলওয়ে লাইনম্যান হিসেবে কাজ করা আতোয়ার হোসেনের সঙ্গে। আরেফা খাতুনকে দেখে পছন্দ করে প্রস্তাবের মাধ্যমেই বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের সময় কাবিন নামায় ঠিকানা দেয় নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর উপজেলার রনাহার গ্রামের আশিদুল ইসলামের ছেলে আতোয়ার হোসেন। বিয়ের পর সুখেই দিন কাটছিল। বিয়ের ৬ মাস পর আরেফা খাতুনকে সরকারি লাইনম্যানের চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা দাবি করেন আরিফার পরিবাবের কাছে। আরেফা খাতুনের মা বিভিন্ন এনজিও থেকে এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছে ধার-দেনা করে টাকা ম্যানেজ করে জামাইয়ের হাতে তুলে দেয়।

আতোয়ার হোসেন অফিসারকে টাকা দেবে বলে বাড়িতে থেকে চলে আসে। চাকরির নাম করে চলে যায় আর ফিরে আসেনি। আতোয়ার হোসেনের বিভিন্ন ফোন নাম্বারে কল তাকে পাওয়া যায় না। এক মাস আগে একটি নাম্বারে তার সঙ্গে কথা বলেন আরেফা। স্বামীর সঙ্গে কথা বললেও স্বামী দেশের কোথায় থাকে তা জানতে চাইলে ঠিকমত বলে না বলে জানান তার স্ত্রী। স্বামীকে খুঁজতে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা আসতে বলে মোবাইল ফোনে। কখনও বলে দিনাজপুর রেলওয়ে লাইনম্যানে কাজ করি, আবার কখন বলে পীরগঘ্জে কাজ করি। এভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গার কথা বলে।

আরফো বলেন, একজনের ফোন নিয়ে স্বামীকে কল দিলে অপর প্রান্তে এক নারী মোবাইলটি রিসিভ করে। আতোয়ার নাম বলতে ওই নারী জানায় এখানে ওই নামে কেউ থাকে না, এটা রং নম্বর বলে কেটে দেয়। সে নম্বরটি এখনও চালু আছে। এর মধ্যে আরেফা খাতুন জানতে পারে তার স্বামী টংগীতে থাকে। ওই ব্যক্তি বিষয়টি সাংবাদিককে জানালে আরেফা খাতুনের মূল কাহিনী তুলে ধরে। আরেফা খাতুন জানতে পারছে তার স্বামী যেখানে কাজ করে সেখানেই একটি করে বিয়ে করে। ওই এলাকার কাজ শেষ করে অন্য জায়গায় স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যায়। আরেফা খাতুন দুই চোখে অন্ধকার দেখছে। ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে এনজিও ও পাওনাদাররা। তিনি স্বামীকে ফিরে পেতে চায়। এভাবে আর কতদিন, স্বামীকে ফিরে পেতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াবে এর শেষ কোথায়।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি