ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

এইচআইভি সম্পর্কে যত ভ্রান্ত ধারণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৭:০৫, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

আজ বিশ্ব এইডস দিবস। সারা বিশ্বজুড়ে ডিসেম্বর দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। বিশ্বে ব্যাপক প্রচার সত্ত্বেও আজও এইডস নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে নানা অজানা ভয়। যে ভয়ের জন্ম ভ্রান্ত ধারণা থেকে।

জেনে নিন এইডস সম্পর্কে যত ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে-

এইচআইভি পজিটিভ হলে সুস্থ সন্তানের সম্ভব নয়: আমাদের মাঝে প্রচলিত আছে, এইচআইভি পজিটিভ হলে সুস্থ সন্তানের জস্ম দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু চিকিৎসকরা এমন কোনও গ্যারান্টি দিতে পারেন না যে, সন্তানের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াবে না। কিন্তু চিকিৎসকরা এটাও বলেন, এইচআইভি পজিটিভরাও সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারেন।

এইচআইভি পজিটিভ হলেই এইডস হবে: আমাদের ধারণা এইচআইভি পজিটিভ হলেই এইডস হবে। মূল কথা হলো- এইচআইভি ইনফেকশন থেকে এইডস হয় ঠিকই, কিন্তু এর কোনও মানে নেই যে এইচআইভি পজিটিভ হলেই এইডস হবে।

এইচআইভি পজিটিভ কোনও বড় সমস্যা নয়: অনেকেই ভাবি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এইচআইভি পজিটিভ কোনও বড় সমস্যা নয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই ভুল ধারণার ফলে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অসুরক্ষিত যৌন মিলনের প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।

পিআরইপি নিলে আর কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই: পিআরইপি নিলে আর কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই এমনটা ভাবেন অনেকে। কিন্তু প্রি এক্সপোজার প্রফিলেক্সিস এক ধরনের মেডিকেশন যা এইচআইভি ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়া রুখতে পারে। তবে পিআরইপি মিলনের সময় এইচআইভি সংক্রমণ রুখতে পারে এমন কোনও প্রমাণ পাননি বিজ্ঞানীরা।

এইচআইভি টেস্ট নেগেটিভ এলে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই: এইচআইভি টেস্ট নেগেটিভ এলে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই এটা প্রচলিত আছে। কিন্তু সদ্য এইচআইভি-তে আক্রান্ত হলে তা পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। অন্তত তিন মাস লাগে ধরা পড়তে। তাই এইচআইভি নেগেটিভ মানেই কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই তার কোনও মানে নেই।

এইচআইভি পজিটিভ হলে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই: অসেকেই ভাবেন, যদি দুজন পার্টনারের এইচআইভি পজিটিভ হয় তাহলে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। মসে রাখবেন, সব এইচআইভি স্ট্রেইন এক রকম হয় না। এক সঙ্গে একাধিক স্ট্রেইনে আক্রান্ত হলে জটিলতা বাড়ে। যাকে বলা হয় সুপারইনফেকশন।

এইচআইভি পজেটিভ মানেই মৃত্যু: আমরা সাধারণত ভাবি এইচআইভি পজেটিভ মাসেই মৃত্যু অবধধারিত। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা আর সাবধানতার মাধ্যমে এ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যু এড়ানো সম্ভব এমসটিই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এইচআইভি ইনফেকশন মুখ দেখে বোঝা যায়: এখনও অনেক সমাজে প্রচলিত আছে, কারো এইচআইভি ইনফেকশন আছে কিনা তার মুখ দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু এই ইনফেকশনের সাধারণত কোনও লক্ষণ থাকে না। তাই দেখে বোঝা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

হেটরোসেক্সুয়ালদের নিয়ে চিন্তার প্রয়োজন নেই: আমরা জানি সমকামীদের মধ্যেই এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। আবার সারা বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্তদের ৭৮ শতাংশ সমকামী ও ২৪ শতাংশ হেটরোসেক্সুয়াল। তাই শুধু সমকামীরাই আক্রান্ত হতে পারে এই ধারণা একেবারেই ভুল। অন্যদের ক্ষেত্রেও এটা হতে পারে।

 

 

আর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি