ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

এখনও পুড়ছে রোহিঙ্গা গ্রাম : অ্যামনেস্টি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:২৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমদের কিছু গ্রাম এখনও জ্বলছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, ওইসব গ্রাম থেকে ধোঁয়া উড়ছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটির কার্যত নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির সেনা অভিযান বন্ধের বক্তব্যের বিপরীত চিত্র পাওয়া গেল। এমনটিই বলছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।


রাখাইন রাজ্যে থাকা সূত্রের বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টি দাবি করেছে, শুক্রবার বিকেলে রোহিঙ্গাদের গ্রাম থেকে ধোঁয়া উড়ার ছবি পাওয়া গেছে। গ্রামগুলো পুড়িয়ে দেয় মিয়ানমারের আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।


মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রায় এক মাস আগে শুরু হওয়া হত্যাযঞ্জ থেকে বাঁচতে প্রায় চার লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।


রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান নিয়ে সমালোচনার মুখে গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক সু চি বলেছিলেন, ৫ সেপ্টেম্বরের পর রাখাইনে সেনা অভিযান চলছে না। দুদিন আগে জাতিসংঘে ভাষণে মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভান থিও বলেন, রাখাইনে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে। তাদের বক্তব্যের পর অ্যামনেস্টি স্থানীয় সময় শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, রাখাইনে এখনও যে বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হচ্ছে, তার অন্তত তিনটি ভিডিও পেয়েছেন তারা।


২২ সেপ্টেম্বরের উপগ্রহ চিত্রেও রোহিঙ্গা গ্রামে জ্বালিয়ে দেওয়া ঘর থেকে ওড়া ধোঁয়া চিহ্নিত করার কথাও জানায় মানবাধিকার সংস্থাটি।


অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স পরিচালক তিরানা হাসান বলেন, এই প্রমাণ অং সান সু চির বক্তব্যের অসারতা তুলে ধরেছে। তিন সপ্তাহ পরেও আমরা দেখছি, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান হয়নি। রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর, গ্রাম জ্বলছেই। মনে হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের ফেরার কোনো উপায়ই রাখা হচ্ছে না।


রাখাইনে এই জাতিগত নির্মূল অভিযান বন্ধে মিয়ানমারকে চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।


গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের ৩০টি পুলিশ ও একটি সেনা ক্যাম্পে হামলা হয়। রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ বা আরসা) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এর পর থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রামে অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা। এই অভিযানের পর থেকে এখন পর্যন্ত চার শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার। তবে রোহিঙ্গাদের দাবি, নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় নাফ নদে ডুবে শতাধিক রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু নিহত হয়েছে।
তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি