কনকনে ঠান্ডায় আগুনের উত্তাপই ভরসা
প্রকাশিত : ২২:৩০, ১১ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২৩:২২, ১১ জানুয়ারি ২০১৮
সারাদশে বইছে শৈত্য প্রবাহ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় কুয়াশায় ঢাকা থাকছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে আছে নিন্ম আয়ের মানুষ। জ্বর -কাশিসহ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার রোগীর বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। কনকনে ঠান্ডায় আগুনের উত্তাপই ভরসা শীতার্ত এই মানুষ গুলোর। শৈত্য প্রবাহে স্থবির সারাদেশ।
তাপমাত্রা টানা কয়েকবার সর্বনিন্ম আছে যশোর জেলায়। শৈত্য প্রবাহ পুরো অঞ্চলজুড়ে। সেই সাথে ঘন কুয়াশায় বেড়েছে দুর্ভোগ। কুয়াশায় কারনে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল, ঘটছে দুর্ঘটনা। সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা উত্তর পশ্চিমাংশে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লা, সীতাকুন্ড, ফেনী ও হাতিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে তীব্র শীতে নাকাল গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র পাড়ের প্রায় দেড়শ’টি চরাঞ্চলের লক্ষাধিক পরিবার। উত্তরে শীতের দাপট কিছুটা কমলেও বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগবালাই। চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রামসহ উত্তরের হাসপাতাল গুলোতে ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা নিয়ে ভীড় করছে নানা বয়সী রোগী।
কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন নীলফামারী, লালমনিহাট, জামালপুর, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার নিন্ম আয়ের মানুষ। জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠান্ডায় ঘর থেকে বেরুতে হচ্ছে শ্রমজীবী আর কৃষিজীবীদের।
আবহাওয়া অফিসের সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় সূর্যাস্ত হয় সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে এবং শুক্রবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৪৪ মিনিটে।
আর
আরও পড়ুন