ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

কফি আনান আর নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৪, ১৮ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ২০:০৭, ১৮ আগস্ট ২০১৮

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব নোবেল শান্তি পদকজয়ী কফি আনান আর নেই। আজ শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

আনান ফ্যামিলি এবং কফি আনান ফাউন্ডেশন থেকে শনিবার এক টুইটে বিশ্ববরেণ্য এই নেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

টুইটে বলা হয়, আনান ফ্যামিলি ও কফি আনান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে যে, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও নোবেল পুরস্কারজয়ী কফি আনান আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। অসুস্থতা থেকে শনিবার তিনি মারা যান।

ঘানা ওয়েব জানায়, সুইজারল্যান্ডে শনিবার সকালে কফি আনান মারা যান।

মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য ২০০১ সালে নোবেল পুরস্কারজয়ী কফি আনান মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান নিয়েও কাজ করছিলেন।

আনানের দু’জন ঘনিষ্ট সহকারী ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরের একটি হাসপাতালে শনিবার প্রথম প্রহরে মারা যান তিনি। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৩৮ সালে ঘানায় জন্ম নেওয়া কফি আনান জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব ছিলেন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ওই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কর্মী হিসেবে জাতিসংঘে যোগ দিয়ে তিনিই প্রথম সংস্থাটির শীর্ষ পদে আসীন হয়েছিলেন। বৈশ্বিক সংস্থাটির প্রথম আফ্রিকান মহাসচিবও ছিলেন তিনি।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা টুইটারে লিখেছে, আজ আমরা এক মহৎ প্রাণ, নেতা ও স্বপ্নদর্শী মানুষ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে হারানোয় শোকাচ্ছন্ন।

২০০৭ সালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক নেতাদের গ্রুপ দ্য এলডারস’র প্রতিষ্ঠা হলে এর সদস্য হন কফি আনান। ২০১৩ সালে ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০০১ সালে জাতিসংঘ এবং কফি আনান যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৬ সালে মহাসচিবের দায়িত্ব ছাড়ার পর সিরিয়া সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

এছাড়া রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকার গঠিত কমিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আনান কমিশন নামে পরিচিতি পাওয়া ওই কমিশন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ৮৮টি সুপারিশ করে।

গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা নিধনের পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গার নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে আনান কমিশনের সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি