ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

কারখানায় ব্রেস্টফিডিং কর্নার রাখার নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩৮, ২২ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৮:০৪, ২৩ আগস্ট ২০১৭

পোশাক প্রস্তুতকারী যেসব কারখানায় ৪০ জনের বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে সেখানে ব্রেস্টফিডিং কর্নার রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘মাদারস অ্যান্ড ওয়ার্ক : কর্মক্ষেত্রে মায়েদের অধিকার এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সুব্যবস্থা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ নির্দেশ দেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবর কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন এবং ইউনিসেফ এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিজিএমই-এর পরিচালক সাইফউদ্দিন, বাংলাদেশ অ্যামপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আর্দাশীর কবির, বিকেএমই এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শামসুন নাহার ভূঁইয়া, আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর নিবাস বি রেড্ডি এবং ইউনিসেফ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মি. এডওয়ার্ড বেগবেডার বক্তৃতা করেন।

সেমিনারে শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ৯৪ ধারা অনুযায়ী যেসব কারখানায় ৪০ জনের বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে সেখানে ব্রেস্টফিডিং কর্নার না থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বিষয়টি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখভালের নির্দেশ দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী কলকারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকরা ১৬ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। এটি তাদের আইনগত অধিকার। তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রে মায়েদের ৬ মাস পর্যন্ত সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানায় কর্মরত মায়েদের সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সুব্যবস্থা করলে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার সম্পর্ক তৈরি হবে। এতে কারখানায় উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ ধরনের একটি অতিপ্রয়োজনীয় মহতী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফসহ অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত প্রায় ৩২ লাখ নারীর মধ্যে শতকরা ১৫ ভাগেরও বেশির বয়স ১৬ বছর থেকে ৩১ বছরের মধ্যে। যাদের প্রত্যেকেই প্রজনন ক্ষমতার অধিকারী।  

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি