কাল ঢাবির রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটে ২৫ জন রেচিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ২০ জানুয়ারি শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন (টিত্রসসি), শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ও নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে।  

শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। শুধু রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরাই ভোট দিতে পারবেন। এ নির্বাচনে মোট তিনটি প্যানেলে লড়াই হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ’,  অপরপক্ষ রয়েছে জাতীয়তাবাদী পরিষদ ও প্রগতিশীল পরিষদ।

‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তারা বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এ পরিষদের প্রার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ কাজ করবে।  

এবারের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা হলেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও সিইউ এআরএম মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল (ব্যালট নং-৮)। এছাড়া আরো আছেন অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, এএইচএম এনামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, এবিএম বদরুদ্দোজা, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মুক্তিযোদ্ধা এম. ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী, এসএম বাহালুল মজনুন চুন্নু, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী, নিজাম চৌধুরী, মিসেস মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (কবি মুহাম্মদ সামাদ), অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল বারী, সিনিয়র ব্যাংকার মো. আতাউর রহমান প্রধান, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, মো. আলাউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, রামেন্দু (কৃষ্ণ) মজুমদার, অধ্যাপক শরীফ আহমদ সাদী, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, রঞ্জিত কুমার সাহা, ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল। 

এ নির্বাচনে ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ’ ৭ দফা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। এর মধ্যে- গণতান্ত্রিক আদেশ ১৯৭৩ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা, সিনেটের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ, নতুন যুগোপযোগী বিভাগ চালু করা, গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন, উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেটসহ অন্য সুযোগ-সবিধা বাড়ানো, ডাকসু নির্বচানের উদ্যোগ নেওয়া এবং সিনেটে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরে দু’টি সিনেট অধিবেশন আহ্বান করা, প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।   

এসি/টিকে