ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কিডনি রোগের কারণ ও প্রতিকার : ডা. এম এ সামাদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫০, ৪ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১০:১৯, ৫ আগস্ট ২০১৮

কিডনি দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি রোগ খুব নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। খুব জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণগুলো প্রকাশ চাই না। এছাড়া যখন লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তখন চিকিৎসা করা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। তবে একটু  সচেতন হলেই এ রোগ অনেকটায় প্রতিরোধ করা যায় বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ ও বিআরবি হাসপাতলের কিডনি বিভাগের প্রধান এবং চীফ কনসালট্যান্ট প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য, রোগ-ব্যাধি, সুস্থতা নিয়ে একুশে টেলিভিশনের নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান দ্যা ডক্টর’স। অনুষ্ঠানে এসে তিনি এসব কথা জানান। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন, অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। শ্রুতি লেখক একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক তবিবুর রহমান

পাঠকদের  সুবিধাতে অনুষ্ঠানের  সম্পূর্ণ আলোচনাটি একুশে টিভি অনলাইনে তুলে ধরা হলো।

একুশে টিভি অনলাইন: কিডনী রোগের লক্ষণ

প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ: কিডনি রোগের উপসর্গগুলোর সঙ্গে অন্য স্বাস্থ্য সমস্যার উপসর্গের মিল আছে। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বল মুসকিল। তবে প্রথমে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো হল, ঘুমের সমস্যা হওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও ফেটে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব করা, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে, প্রস্রাবে বেশি ফেনা হলে, চোখের চারপাশে ফুলে গেলে, ক্ষুধা কমে গেলে, অনেকের মাঝে মাঝে মাজায় ব্যাথা করে।

এমন হলে অনেকেই ধারণা করে তাদের কিডনিতে সমস্যা আছে। এমন ধারণা করা ভুল, বিভিন্ন কারণে মাজায় ব্যথা হতে পারে। এজন্য আগে পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা দরকার আসলেই কিডনি সমস্যা আছে কি না। অনেকের প্রায়ই রাতেরবেলা মূত্রত্যাগের প্রয়োজন হয়। এটাও কিডনি রোগের লক্ষণ। যখন কিডনির ছাঁকনি গুলো নষ্ট হয়ে যায় তখন প্রস্রাবের বেগ বৃদ্ধি পায়। ঘন ঘন মূত্রত্যাগ ইউরিন ইনফেকশনের ও লক্ষণ হতে পারে, পুরুষের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট গ্লেন্ড বড় হয়ে গেলেও এই উপসর্গ দেখা দেয়।

একুশে টিভি অনলাইন:  যদি কোন ব্যক্তির দুই কিডনিতে পাথর হয়। তাহলে তার করণীয় বা কি কারণে পাথর হয় যদি বলতেন ?

প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ: বিভিন্ন কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। অনেক সময় পানি কম পান করলে পাথর হতে পাবে। কোন ব্যক্তির একবার পাথর হলে, ৫ বছর পর  আবার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই পানি বেশি করে পান করতে হবে।

একুশে টিভি অনলাইন: কিডনি ভালো রাখার উপায় কি ?

প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত রক্তের শর্করা এবং প্রস্রাবের অ্যালবুমিন পরীক্ষা করা ও রক্তের হিমোগ্গ্নোবিন এওয়ানসি নিয়ন্ত্রণে রাখা। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। (১৩০/৮০-এর নিচে যাদের প্রস্রাবে অ্যালবুমিন থাকে তাদের ১২০/৭০-এর নিচে)। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের কিডনির কার্যকারিতা প্রতি ৬ মাস অন্তর পরীক্ষা করা। শিশুদের গলা ব্যথা, জ্বর ও ত্বকে খোস-পাঁচড়ার দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা উচিত। কারণ এগুলো থেকে কিডনি প্রদাহ বা নেফ্রাইটিস রোগ দেখা দিতে পারে।

একুশে টিভি অনলাইন: দ্য ডক্টর`স অনুষ্ঠানে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ: একুশে পরিবাকেও ধন্যবাদ।

 

টিআর/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি