ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেমিনার

কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩১, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৫৫, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ‘ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ( বিলিয়া) মিলনায়নতে রোহিঙ্গা সংকট ও সমাধান শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুপ কুমার চাকমা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে এখন কূটনৈতিক তৎপরতাই মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি মনে করেন রাজনৈতিক দলগুলোর এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে না, যা কূটনৈতিক উদ্যোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

অনুপ কুমার চাকমা বলেন, আমাদের উচিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে উদ্বুদ্ধ করা।

সেমিনারে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১০ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশ দীর্ঘ সময় রাখতে পারবে না। এদেরকে দেশে ফেরাতে সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। তিনি মনে করেন এ সমস্যা সমাধানে একদিনে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যদিকে রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

সারাবিশ্ব রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দিলেও রাশিয়া ও চীন মিয়ানমার সরকারকে  সমর্থন দিচ্ছে। অধ্যাপক দেলোয়ার বলেন, এজন্য এই রাষ্ট্রগুলোকে (চীন-রাশিয়া) আমাদের বুঝাতে হবে যে, রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে দীর্ঘমেয়াদে আমাদের নাগরিকদের জন্য হুমকি তৈরি করবে। সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের দিকেই সরকারের মনোযোগ দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি৷

অধ্যাপক দেলোয়ার বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, গরু-ছাগল, ফসল নিয়ে গেছে বৌদ্ধরা। একেবারে শ্মশ্মান হয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো। সে কারণে রোহিঙ্গাদের ফেরানো হলে তারা নিজেদের গ্রামে যেতে পারবে না কি অন্য কোথাও তাদের রাখা হবে সেটাও পরিষ্কার নয়।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সহযোগী অধ্যাপক  লাইলুফার  ইয়াসমিন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এখনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কক্সবাজারসহ ৯ টি উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। এরা স্থানীয়দের নিরাপত্তা রাজনীতি, অর্থনীতি, পরিবেশের উপর নতুন সংকট তৈরি করছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মেয়েদের আমাদের দেশের অনেক ছেলেরা বিয়ে করছেন । ফলে তাদের যে সন্তান হবে তারা কি পরিচয় পরিচিত হবে-এটিও একটি বড় সমস্যা। এটাও এখনই ভাববার বিষয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাফায়াত হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. মোঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এহসানুল হক প্রমুখ।

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি