ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

গুহায় আটকে পড়লে ৪ করণীয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২০, ১ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৮:০৭, ৩ জুলাই ২০১৮

ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

থাইল্যান্ডের গুহায় শনিবার থেকে নিখোঁজ ১২জন কিশোর ও তাদের কোচের খোঁজে চলছে উদ্ধার তৎপরতা।

পেশাগত কাজে যারা পাহাড়ের ভেতরে বা খনিতে নিয়মিত যান, তাদের মত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি এবং প্রস্তুতি না থাকায় দীর্ঘ সময় গুহার ভেতরে থাকা নিয়ে ওই কিশোর এবং তাদের কোচের সুস্থ থাকা নিয়ে উদ্বেগ তীব্র হয়েছে।

কিন্তু হঠাৎ করে পর্বত বা পাহাড়ের গুহায় আটকা পড়লে উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত টিকে থাকার জন্য কিছু পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কেভ রেসকিউ কমিশনের প্রধান নির্বাহী আনমার মীর্জার মতে গুহায় আটকে পড়ার পর প্রথম এবং প্রধান কাজ হলো বড় ধরণের কোনও বিপদে, যেমন পাথর ধস বা বন্যায় সতর্ক হওয়া।

অর্থাৎ গুহার মধ্যে পানি বাড়লে কতটা উচ্চতা পর্যন্ত তলিয়ে যেতে পারে। সে ধারণা করে থাকার জন্য নিরাপদ উঁচু জায়গা খুঁজে বের করতে হবে।

আনমার মীর্জা বলছেন, ‘আচমকা যারা আটকে পড়েছে, তাদের তখন সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের ব্যবহারের দিকে নজর দিতে হবে।’

মানে করুন, সঙ্গে খাবার থাকলে তার অপচয় যাতে না হয়, খেয়াল রাখতে হবে।

উষ্ণ থাকতে হবে

আনমার মীর্জার মতে গুহায় আটকে পড়া যে কাউকে শুরুতেই খেয়াল রাখতে হবে, যাতে তিনি উষ্ণ থাকতে পারেন।

কাপড়চোপড় শুকনো রাখতে হবে। গুহার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপদ হাইপোথার্মিয়া বা শরীরে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে যদি কমে যায়, তাহলে যে কারো বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

পানি

শরীর উষ্ণ রাখা যেমন জরুরি তেমনি, শরীরে জলীয় পদার্থের মাত্রা ঠিক রাখা বা পানির সরবারহ ঠিক রাখা অত্যাবশ্যকীয়।

পানি পান করতে হবে। তবে নোংরা পানি থেকে সাবধানও থাকতে হবে। কারণ দূষিত পানির জন্য পেট খারাপ ও বমি শুরু হতে পারে। এর ফলে শরীর আরো পানিশূণ্য হয়ে পড়বে।

তবে কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের মত পার্থক্য আছে এ নিয়ে। তাদের মতে, বেশিরভাগ গুহার ভেতরের পানি পানযোগ্য।

তারপরেও নোংরা বা বিশুদ্ধ নয় এমন পানি হয়ত সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি করে না। যে কারণে শরীরে পানির যোগান ঠিক রাখতে নোংরা হলেও খাওয়া উচিত।

বাতাস

অক্সিজেন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ নিয়ে মানুষ যত ভয় পায়, তার সবটাই যথার্থ নয় বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বেশির ভাগ গুহার ভেতরে প্রাকৃতিক উপায়ে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি যেসব জায়গায় মানুষ নড়াচড়া করতে বা ঢুকতেও পারবে না, সেসব জায়গাতেও ঠিকই বাতাসের আসা-যাওয়া আছে।

তবে ছোট্ট কোনও জায়গাতে বেশি মানুষ আটকা পড়লে সেখানে কার্বন-ডাই অক্সাইড বেড়ে যেতে পারে।

মানসিক যন্ত্রণা

আপনার হয়ত উষ্ণতার ব্যবস্থা আছে, পানি ও বাতাসের কোনও ঘাটতি নেই। কিন্তু অন্ধকারে দীর্ঘক্ষণ মাথা ঠাণ্ডা রাখা যে কারো পক্ষেই কঠিন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, উদ্ধারকারী দল কিংবা কোনও ধরণের সাহায্য পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত কষ্ট করে মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। অস্থির বা অধৈর্য হলে বিপদ বাড়ে।

সাধারণ পরামর্শ

বিশেষজ্ঞরা গুহার ভেতরে যে কেউ ঢুকতে গেলেই কয়েকটি অবশ্যম্ভাবী বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দেন। যেমন এক নম্বর পরামর্শ হলো, প্রস্তুতি ছাড়া কখনো গুহায় ঢোকা উচিত নয়। ভেতরকার পরিস্থিতি সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং অন্তত একজন সঙ্গী ছাড়া গুহায় প্রবেশ করা উচিত নয়। এছাড়া গুহায় ঢোকার আগে একজন কাউকে জানিয়ে যেতে হবে গন্তব্য সম্পর্কে। কারণ যত দ্রুত বিপদ আঁচ করা যাবে, তত দ্রুত সাহায্য আসবে।

সূত্র: বিবিসি

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি