ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫২, ৩ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৪৩, ৩ এপ্রিল ২০১৮

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের প্রত্যাশা মতো চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতি হয়নি।

১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্থান প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রমমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসদে বিল পাসের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আধুনিক যুগে প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে, নতুন প্রযুক্তিতে এখন চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। দেশের সিনেমা হলগুলোকে ডিজিটাল করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সিনেমা হলগুলো ডিজিটাল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। হলগুলো ডিজিটাল হবে, এ জন্য এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আজ (০৩ এপ্রিল) ঢাকায় জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন আয়োজিত এফডিসি’র আট নং শুটিং ফ্লোরে “ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা এবং উত্তরণের উপায়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সকল সমস্যা চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আরো চলচ্চিত্র নির্মাণ করা প্রয়োজন। আমরা সকলে মিলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে পারি।

সেমিনারের বিশেষ অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংরাদেশের চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু। বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগেই চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন সৃষ্টি হয়েছে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চরচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দেশে আধুনিক আর্কাইভ ভবন নির্মান করা হয়েছে। চলচ্চিত্র উন্নয়নের জন্য আমাদের সবকিছুই আছে, এ গুলোকে কাজে লাগাতে হবে। শিল্পীদের সম্মান দিতে হবে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে শিল্পীর অভাব হবে না। দেশের সিনেমা হলগুলো ডিজিটাল করা হবে।

সেমিনারের অপর বিশেষ অতিথি তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, চলচ্চিত্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পাইরেসি বন্ধে প্রয়োজন কঠোর আইন, ক্ষতিগ্রস্থ নির্মাতাদের জন্য ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। তাহলেই চলচ্চিত্র নির্মাতাগণ এগিয়ে আসবেন। আধুনিক নির্মাণ শৈলী ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ এখন সময়ের দাবী। সিনেমা হলে ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু করা হলে অনেক প্রতারনা বন্ধ হবে, আয় বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে চলচ্চিত্র কে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করলেও এ শিল্পের সুযোগ-সুবিধা তারা পাচ্ছে না, এ সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমির হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আলোচনা করেন প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন।

এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী এফডিসিতে বিশিষ্ট অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম এর সভাপতিত্বে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, অভিনেতা মো. আলমগীর হোসেন, অভিনেতা ফারুক, চলচ্চিত্র নির্মাতা দেলওয়ার জাহান ঝন্টু, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিসা শওদাগর, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুসফিকুর রহমান গুলজার।

এসি  

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি