ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চার দশক ধরে ধর্ষিত!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩০, ১৬ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৩২, ১৬ জুলাই ২০১৮

কয়েক দশক ধরে নির্যাতন করেছেন মেয়েকে। ধর্ষণ করেছেন অন্তত শতাধিকবার। শেষমেষ সেই মেয়ের হাতেই খুন হলেন বাবা। হত্যার এক যুগ পর উন্মোচিত হলো এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাবার কবরের পাশেই মেয়ের কেটেছে দীর্ঘ ১২টি বছর।

শিহরণ জাগানো এই ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে। বারবারা কম্বেসের বয়স যখন মাত্র নয় বছর তখন থেকেই বাবা কেনেথ কম্বেসের বিকৃত লালসার শিকার হতে শুরু করেন তিনি। ৫১ বছর বয়সে নিজ হাতে বাবাকে খুন করার আগ পর্যন্ত চলে এই নির্যাতন।

ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টের সূত্র দিয়ে ম্যানচেস্টার ইভনিং এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালে একদিন বাসার খাবারের টেবিলে একটি বক্স দেখেন বারবারা। বক্স খুলে শিশু পর্নোগ্রাফির বেশকিছু ছবি দেখতে পান তিনি। সেগুলোর মধ্যে নিজের ছবিও পান।

বক্সে এই ছবিগুলো ইচ্ছে করেই রেখেছিলেন তার বাবা কেনেথ। বারবারার বয়স ৫১ বছর হলেও তখনও তাকে নির্যাতন করে যেতে বাবা কেনেথ। বক্সে নিজের এমন ছবি দেখে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি বারবারা।

হাতে থাকা বাগানের বেলচা দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে বসেন তিনি। কেনেথ তার দিকে ঘুরে দাঁড়ালে আবারও আঘাত করেন বারবারা। শেষমেষ বেলচার ধারালো প্রান্ত দিয়ে গলা কেটে কেনেথের মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি।

এরপর লাশ নিয়ে ঘরে পাশেই দাফন করে দেন তিনি। নতুন মাটি ঢেলে দীর্ঘ ১২ বছর ধামাচাপা দিয়ে রাখেন এই ঘটনা। সবাইকে বলেন, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বাবার। আর তার শেষকৃত্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই করে ফেলে।

তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে, বাবাকে হত্যার বিষয়টি স্বেচ্ছায় স্বীকার করেন বারবারা। গত বুধবার বর্তমানে ৬৩ বছর বয়সী বারবারাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ম্যানচেস্টারের আদালত।

মামলার বিচারক টিমোথি কিং রায়ে বলেন, ‘বারবার ওপর যা হয়েছে তা নির্মম। তবুও যুগ যুগ ধরে চলা এই নির্যাতন ব্যাখ্যা করা যায় কিন্তু তার জন্য নিজেই জীবন নিয়ে নেওয়া বৈধ ঘোষণা করা যায় না।’

ইভনিং নিউজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মেকানিক হিসেবে কাজ করা কেনেথ কম্বেসের কারণে বারবারার মা ও বারবারাকে বেশ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। ধারণা করা হয়, বারবারার প্রথম মেয়ে সম্ভবত কেনেথেরই মেয়ে।

আদালতে বারবারার আইনজীবী মার্টিন হেসলপ বলেন, তাকে (বারবারা) তাঁর বাবা একজন যৌন দাসী হিসেবে ব্যবহার করতেন। তার কোনো বন্ধু ছিল না, বাড়ির বাইরে তার কোন জীবন ছিল না। সে কারো সঙ্গে কথা বলবে আর কারো সঙ্গে বলবে না তা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করত তার বাবা।’

সূত্রঃ এনডিটিভি

//এস এইচ এস//    


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি