ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চালু হলো ফোর-জি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:১৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আজ সোমরার রাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা ফোর-জি বা এলটিই। আজ সন্ধ্যায় মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে ফোর-জি লাইসেন্স হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে সর্বোচ্চ প্রযুক্তির এ নেটওয়ার্কে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।

রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোবাইল সংযোগ অপারেটরগুলোর কাছে এ লাইসেন্স হস্তান্তর করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি। ডাক,টেলিযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে এ লাইসেন্স হস্তান্তর করেন।

এ সময় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ফোরজি প্রকল্প চালু হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন আরও একধাপ এগিয়ে গেল। দেশের মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। সবধরণের খাতে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে দেশ আরও এগিয়ে যাবে"।

এর আগে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের কাছে লাইসেন্স প্রদান করে বিটিআরসি। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী গোলাম কুদ্দুসের কাছে লাইসেন্স প্রদান করেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
এরপরই একে একে লাইসেন্স দেওয়া হয় মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক, গ্রামীণ ফোন এবং রবি`কে। বাংলালিংকের পক্ষে লাইসেন্স গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, গ্রামীণ ফোনের পক্ষে লাইসেন্স নেন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি এবং রবির পক্ষে লাইসেন্স গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দীন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, "ফোর-জি চালুকরণে শুধু যে আমরাই উচ্ছসিত তা নয়। সাধারণ জনগণও ব্যাপক আনন্দিত। ফোর-জি, থ্রি-জির থেকে অনেক বেশি উন্নত মানের একটি প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে জনগণের ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই পাল্টে যাবে"।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ফোরজি/এলটিই সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিটিআরসি। তবে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওয়াইম্যাক্স সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান বাংলা লায়নের করা রিটের সিদ্ধান্তে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। আর এতে প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল দেশের ফোর-জি সেবা চালুর সম্ভাবনা। কিন্তু সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চালু হচ্ছে এই সেবা।

এদিকে লাইসেন্স পাওয়ার কিছুক্ষণ পরই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশকিছু বিভাগীয় শহরে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু করে গ্রামীণ, রবি ও বাংলালিংক। তবে টেলিটক অপারেটর এখন পর্যন্ত সেবা চালু করতে পারেনি। তবে আগামী মে মাসে টেলিটক ফোর-জি চালু করবে বলে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে।

বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যপী ২০০টিরও বেশি বিটিএস টাওয়ারের আওতাধীন এলাকায় ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। এসব এলাকার মধ্যে আছে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং সিলেটের নির্দিষ্ট কিছু এলাকা। আর ১৭৯টি বিটিএস টাওয়ারের আওতাধীন এলাকায় ফোর-জি সেবা চালু করে রবি। এদিকে গ্রামীণ ফোন শুধু রাজধানীর গুলশান, বনানী, উত্তরা ও ধানমন্ডি এলাকায় চালু করে ফোর-জি সেবা।

এর আগে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ফোর-জি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, টেলিটক এবং সিটিসেল। তবে বিনিয়োগ না পাওয়ায় নিজেদের আবেদন উঠিয়ে নেয় সিটিসেল। যে কারণে সর্বশেষ লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে এই চার প্রতিষ্ঠান।

এসএইচএস/ এমজে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি