ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

চুরি হওয়া গাড়ি খুঁজে দেবে ডিভাইস!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৮, ১৮ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৫৯, ১৮ আগস্ট ২০১৭

কামরুল সাহেবের (ছদ্মনাম) অটোরিক্সার ব্যবসা। বর্তমানে তার গ্যারেজে অটোরিক্সার সংখ্যা ২৫টি। অটোরিক্সাগুলো মাঝে মাঝেই চুরি অথবা ছিনতাই হয়। কখনো কখনো মুক্তিপণ দিয়ে অটোরিক্সাগুলোর কয়েকটি ফিরে পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ পাওয়া যেত না। গত মে মাসের দিকে তিনি তার সবগুলো অটোরিক্সাতে জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস ইন্সটল করেছেন। এর সুফল যে তিনি এত দ্রুত পাবেন সেটা হয়তো তিনি নিজেই ভাবেননি। জুন থেকে জুলাইয়ের মাঝে তার ৩টি অটোরিক্সা চুরি হলে কোনোরকম মুক্তিপণ ছাড়াই জিপিএস ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তিনি সবগুলো অটোরিক্সা উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

শাফিনুর আজনান সাহেবের গল্পটা একটু ভিন্ন। ড্রাইভার প্রায়ই সিএনজি গ্যাস আনতে গিয়ে বিশাল লাইনের অজুহাত দেখায়। এক রাতের কথা ড্রাইভারের ভাষ্য মতে, গাড়ি যথারীতি সিএনজি গ্যাসের লাইনে দাঁড়ানো। শাফিনুর সাহেব গাড়ির লোকেশন ট্র্যাক করে দেখলেন এয়ারপোর্ট সিগন্যালে দাঁড়িয়ে আছে তার গাড়ি। যেখানে তার জানামতে কোনো সিএনজি স্টেশন নেই। সন্দেহ হওয়ায় ভয়েস ট্রাকিং অপশনের মাধ্যমে কল করলেন গাড়িতে আর ড্রাইভারের গলার আওয়াজে শুনতে পেলেন মহাখালি ২০ টাকা, মহাখালি ২০ টাকা। বুঝতে আর কিছুই বাকি রইল না শাফিনুর সাহেবের।

এভাবেই ফাইন্ডার ট্র্যাকিং সার্ভিস কাজ করে যাচ্ছে ২০০৯ সাল থেকে। এই সেবা উপভোগ করার জন্য একটি ট্র্যাকিং ডিভাইস ইন্সটল করতে হয়। ডিভাইসটিতে একটি মোবাইল সিম থাকে, যা জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে যানবাহনের তাৎক্ষণিক অবস্থান আপডেট করতে থাকে ফাইন্ডার সার্ভারে। ব্যবহারকারীরা ফাইন্ডার ওয়েব সাইট www.finder-lbs.com অথবা মোবাইল অ্যাপস থেকে তার গাড়ির অবস্থান, গতি, অতিক্রান্ত দুরত্বসহ আরও নানা ধরনের রিপোর্ট উপভোগ করে থাকেন। শুধু তাই না, ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার এ ফোন দিয়ে অথবা পুশ পুল এসএমএস এর মাধ্যমেও পাওয়া যায় এই ধরনের সেবাগুলো। যেকোনো ধরনের গাড়ির পাশাপাশি মটর সাইকেল, মাইক্রোবাস, বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিক্সা এমনকি নৌযানেও ব্যবহার করা যায় এই ডিভাইস।

চোরাই গাড়ি উদ্ধার ছাড়াও এই ট্র্যাকিং সার্ভিস গাড়ির নিরাপত্তা ও সঠিক ব্যবস্থপনা নিশ্চিত করে। এই সাভির্সের মাধ্যমে ব্যবহারকারী খুব সহজেই ড্রাইভারের সারাদিনের কার্যক্রম, সর্বোচ্চ অতিক্রান্ত দূরত্ব দেখতে পারবেন। এমনকি ইচ্ছে হলে কল করে গাড়ির ভিতরের কথাবার্তাও শুনতে পারবেন। এছাড়াও এতে আছে জিওফেন্স সুবিধা; যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকায় (যা ব্যবহারকারী নিজেই এঁকে দিতে পারেন।) ঢুকলে বা বের হলে সাথে সাথে নোটিফিকেশন চলে যাবে ব্যবহারকারীর কাছে।

আফটার সেলস সার্ভিস এই সেবার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। আর এই সেবা নিশ্চিত করতে ফাইন্ডারের ঢাকার পাশাপাশি চট্রগ্রাম ও যশোরেও রয়েছে নিজস্ব অফিস। এ ছাড়া মোবাইল টেকনেশিয়ান টিম আছে সারা দেশে সার্ভিস দেওয়ার জন্য।

গত দুই মাসে প্রায় ৮টি গাড়ি, মটর বাইকসহ মাইক্রোবাস উদ্ধার হয়েছে যার মধ্যে দুই ক্ষেত্রে চোরও ধরা পড়েছে। ১০-১৩ আগস্ট ফাইন্ডার ট্র্যাকিং দিয়েছে স্পেশাল ডিসকাউন্ট অফার। যেকোনো ডিভাইস তারা ৫০০০ টাকায় বিক্রি করেছে। মাসিক সার্ভিস চার্জ হিসেবে নিয়েছে ৫০০ টাকা।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি