ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

জ্বর ঠোসা সারানোর প্রাকৃতিক দাওয়াই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৬, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

জ্বর ঠোসা যন্ত্রণাদায়ক বিরক্তির মুখের ঘা। কারো কারো মুখে এ ঘা সারা বছরই দেখা যায়। আবার  অনেকে মনে হয় জ্বর হলেই শুধু জ্বরঠোসা হয়, যা একেবারেই ভুল ধরণা। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোনের সমস্যা, অম্বল, ভিটামিন বি এবং সি-এর অভাব, আইরনের অভাব ইত্যাদি। প্রাকৃতিকভাবেও জ্বর ঠোসা সারানো যায়। সেটি নিয়েই এবারের ফিচার।

১. মধু: মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জীবাণুনাশক উপাদান রয়েছে, যা আমাদের মুখের ভেতরের অংশকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং নতুন কোষ গঠনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো মধু এবং আমলকী গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে জ্বর ঠোসার ওপর লাগালে দারুন উপকার মেলে। প্রসঙ্গত, হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগালেও একই উপকার মেলে।

২. মুলেঠি গুঁড়ো: মুখে ঘা বা জ্বরঠোসা হলে অনেক সময়ই তা পেটের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে মুলেঠি বা জোষ্ঠীমধু। জ্বরঠোসা হলে জোষ্ঠীমধু জল বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যেমন পেট পরিষ্কার হয়, তেমনি ঘা উৎপাদনকারী উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

৩. ত্রিফলা: ত্রিফলা আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রেখুবই পরিচিত একটি নাম। অর্ধেক চা চামচ ত্রিফলা, এক কাপ জলে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রন দিয়ে ভাল করে মুখের ভিতর ধুয়ে নিতে হবে। চেষ্টা করবেন, যাতে এই মিশ্রণটি মুখের ভিতর ১ থেকে ২ মিনিট অবধি থাকে। এরপর জলটা ফেলে দেবেন। এমনটা করলে জ্বরঠোসা সেরে যাবে।

৪. মিশ্রি এবং কর্পূর: ৮ গ্রাম মিশ্রি গুঁড়ো করে নিতে হবে। তার সঙ্গে ১ গ্রাম কর্পূর মেশাতে হবে। দুটি একত্রে মিশিয়ে জ্বরঠোসার ওপর লাগাতে হবে। এতে ঘা এবং ফোলাভাব দুই-ই কমে যাবে।

৫. নারকেল তেল এবং ঘি: নারকেল তেলে প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। তাই কিছু পরিমাণে নারকেল তেল মুখের ভিতর নিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলে দিতে হবে। একদিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার এটি করা যায়। এছাড়াও এক্ষেত্রে দেশি ঘি দারুণ কাজ করে। দেশি ঘি সরাসরি জ্বর ঠোসার ওপর লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।

৬ অ্যালোভেরা: জ্বর ঠোসার ওপর কিছুটা পরিমাণ অ্যালো ভেরার রস লাগিয়ে রেখে দিন। এমনটা করলে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়। কারণ অ্যালো ভেরার মধ্যে প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও পেটের ঘা দূর করতেও এটি দারুণ কাজ দেয়। এমনকি গ্যাস অম্বলের সমস্যাও দূর করে।

৭.তুলসি পাতা: তুলসি পাতা কতটা উপকারি, তা তো আমরা সবাই জানি। এছাড়াও তুলসি পাতা ম্যাজিকের মতো কাজ করে জ্বর ঠোসা সারিয়ে তুলতে। জ্বর ঠোসা হলে সতেজ নিমপাতা চিবিয়ে তারপর জল খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও মেথি পাতা ভিজিয়ে সেই জল দিয়ে দিনে দু-তিনবার মুখ ধুলেও সমান উপকার মেলে।

সূত্র : বোল্ডস্কাই।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি