ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ট্রাম্প প্রশাসনের কোপের মুখে একাধিক রুশ-চীনা বাণিজ্যিক সংস্থা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৭, ১৭ আগস্ট ২০১৮

রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে উত্তর কোরিয়াকে অর্থনৈতিক সাহায্য দিয়েছে বেশ কয়েকটি রুশ ও চীনা বাণিজ্যিক সংস্থা৷ সেই অপরাধে সংস্থাগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা৷

বুধবার এই সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করল মার্কিন ট্রেজারি দফতর৷ নিষেধাজ্ঞা খাঁড়া নেমে এসেছে আমেরিকায় ব্যবসা চালান একাধিক বৃহৎ রুশ ও চীনা ব্যবসায়িক সংস্থার উপরে৷ নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে পিয়ংইয়ং-এর উপরে চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এই পন্থা নিয়েছে ওয়াশিংটন৷ মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল৷

জানা গেছে, প্রকাশিত তালিকায় নাম রয়েছে, চীনা সংস্থা দালিয়ান সান মুন স্টার ইন্টারন্যাশনাল লজিস্টিক ট্রেডিং কোম্পানি, লিয়াঙ্গ ইয়ে ও এসআইএনএসএমএস-এর৷ যারা উত্তর কোরিয়াতে সিগারেট ও অ্যালকোহল রফতানি করেছে এবং ব্যবসা করেছে জ্বালানি তেলের৷ যার ফলে গত বছরে পিয়ংইয়ং-এর আয় হয়েছে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ একইভাবে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে রুশ সংস্থা প্রফিনেটকে৷ অভিযোগ, রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা না দিয়ে উত্তর কোরিয়ার বেশকিছু জাহাজে মালপত্র খালাসে সাহায্য করেছে সংস্থাটি৷ জাহাজগুলোতে ভরে দিয়েছে জ্বালানি৷ কেবল সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেই থেমে থাকেনি মার্কিন ট্রেজারি দফতর৷ ষড়যন্ত করার ঘোরতর অভিযোগ এনেছে সংস্থার ডিজি আলেকজান্দ্রোভিচ কোলছানোবের বিরুদ্ধে৷

নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রমরমিয়ে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা, বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা ও অন্যান্য ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া৷ সম্প্রতি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়ে রাষ্ট্রসংঘ৷ ১৪৯ পাতার রিপোর্টে বলা হয়, জাহাজে করে, সমুদ্র পথে বিভিন্ন দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্য ও কয়লা সরবরাহ করছে পিয়ংইয়ং৷ সবার অলক্ষ্যে চালাচ্ছে ব্যালিস্টিক মিসাইলের চোরা চালান৷ এমনকি, সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠকের পরেও গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র ও মিসাইল প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে চলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন৷

সূত্রের খবর, ২০১৮-র প্রথম পাঁচ মাসে ৫ লাখ ব্যারেলেরও বেশি পেট্রোলিয়াম কিনেছে কিমের দেশ৷ ৪০টি জাহাজে করে ১২০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে এই তেল এসেছে উত্তর কোরিয়ায়৷ কেবল আমদানিই নয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেআইনি রফতানিও চালাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ায় সর্বাধিনায়ক৷ রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭-র অক্টোবর থেকে ২০১৮-র মার্চ পর্যন্ত চীন, ভারত এবং অন্যান্য দেশে লোহা ও ইস্পাত সরবরাহ করেছে পিয়ংইয়ং৷ আয় করে ১৪ মিলিয়ন ডলার৷ ঘানা, মেক্সিকো, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়েতে করে বস্ত্র রফতানি৷ সেখান থেকে আয় হয় ১০০ মিলিয়ন ডলার৷ এমনকি, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সুদানে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামও চোরাপথে চালান করে কিমের দেশ৷

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি