ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

ডিসেম্বরের মধ্যে ফোর জি সেবা : তারানা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২১:৪৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা ফোর জি সেবা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বুধবার সচিবালয়ে ফোর জি সেবা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তারানা হালিম বলেন, নভেম্বরের শেষের দিকে আমরা (ফোর জি তরঙ্গ) নিলাম সম্পন্ন করব এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ফোর জি সুবিধা জনগণকে প্রদান করতে সক্ষম হব। এটাই আমাদের টার্গেট। এটাকে আমরা টার্গেট বলছি এ কারণে যে, এর মধ্যে কিছু ইকুইপমেন্ট আমদানির বিষয় আছে। যার উপর আমাদের হাত নেই। আমরা আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করব ডিসেম্বরের মধ্যে।

তিনি জানান, ২১০০ মেগাহার্টজে পাঁচটি, ১৮০০ মেগাহার্টজে চারটি ও ৯০০ মেগাহার্টজে দুটো ব্লকে নিলাম হবে। ফোর জি নিলামের মাধ্যমে সরকারের কমপক্ষে ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে।

তারানা হালিম বলেন, সকল অপারেটর ফোর জির জন্য প্রস্তুত। আমরা (ফোর জি) ট্রায়াল রান করেছি। ফোর জির বিষয়ে সকলেই উৎসাহী। অপারেটররা গত ৬/৭ মাস ধরে যত ইকুইপন্ট এনেছেন ফোর জি ইকুইপমেন্ট আমদানি করেছেন। থ্রি জি’র চেয়ের ফোর জি’র দিকেই বেশি দৃষ্টি দিচ্ছেন।

তরঙ্গ নিলাম গাইডলাইন, সেই সঙ্গে ফোর জি লাইসেন্সিং গাইডলাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, সরকারের এই অনুমোদনের পর গাইডলাইন অনুযায়ী ২১০০ মেগাহার্টজ, ১৮০০ মেগাহার্টজ এবং ৯০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলাম হবে। এই নিলামকে যে অপারেটররা আছেন তারা অংশ নিতে পারবেন এবং প্রাক মূল্যায়নে উত্তীর্ণ নতুন প্রতিষ্ঠান ২১০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামে অংশ নিতে পারবেন। উক্ত ব্যান্ডে বিজয়ী হলে পরবর্তী সময়ে তারা ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ নিলামে অংশ নিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন গাইডলাইনে কিছু নতুনত্বও রয়েছে। এর ইউনিক ফিচারটি হচ্ছে তরঙ্গ নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ করা সব তরঙ্গ টেকনোলজি নিউট্রাল হবে, অর্থাৎ ওই তরঙ্গে টু-জি, থ্রি-জি এবং ফোর-জি এলটি সেবা দেয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে।

তিনি বলেন, ৯০০ মেগাহার্জের স্পেকট্রামের ক্ষেত্রে বর্তমান স্পেকট্রাম থেকে টেকনোলজি নিউট্রালিটি স্পেকট্রাম কনভার্সনের জন্য প্রতি মেগাহার্টজের ফি ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু পরিবর্তন করেছি, যেগুলো অনুমোদন হয়েছে। আবেদন করার যোগ্যতার ক্ষেত্রে অপারেটরদের বিদেশি অংশীদারকে বাংলাদেশ থেকে কোনো ঋণ না নিয়ে বৈদেশিক বিনিয়োগের বিধানটি বাদ দিয়েছি, তারা বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।’

লাইসেন্স অ্যাকুইজেশন ফি ১৫ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বার্ষিক লাইসেন্স ফি ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। গ্রস রেভিনিউ শেয়ারিং ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিত ৫ শতাংশ করা হয়েছে বলেও জানান টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার উপস্থিত ছিলেন।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি