ঢাবির গোলযোগের ঘটনায় কাউকে ছাড় নয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত থাকলে, অবশ্যই তাকে শাস্তি পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এদিকে ফটক ভেঙ্গে উপাচার্যের কার্যালয়ে যারা ঢুকেছে, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আজ বুধবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এর আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে ওবায়দুল কাদের সেখানে যান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, মনে রাখতে হবে ছাত্রলীগ করলেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কেউ জোর করে উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকে পড়বে, আর সেটা সাধারণ ছাত্ররা প্রতিরোধ করবে না, সেটা ঠিক নয়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কোন সহিংসতাকারী ভিসির কার্যালয়ে ঢুকে পড়বে, এটা কেমন কথা? সাধারণ ছাত্রদের কি কোন দায়িত্ব নেই। এসময় তিনি বলেন,‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা উপাচার্যের কার্যালয়ের ফটক ভেঙেছে, তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রী নিপীড়নে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কারের দাবিসহ চার দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নেয় সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে অন্দোলনে নামা বাম ছাত্রজোটের নেতারা। এসময় তাদের সরিয়ে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে ‘উদ্ধার’ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন।

এ সময় সাংবাদিকের উল্টো প্রশ্ন ছোড়ে দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আপনারা একটি দিক দেখলেন, আরেকটি দিক দেখলেন না? এই যে আরেকটা দিক হলো উপাচার্যের কার্যালয়ের ফটক ভেঙে ঢোকার কি কোনো নিয়ম আছে? এটা কি কোনো গণতান্ত্রিক পন্থা? এটা কি আন্দোলনের অংশ? তিনি বলেন, উপাচার্য বলেছেন, ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েরা যদি এসে তাকে উদ্ধার না করত, তাহলে তাঁর জীবনের ওপর হামলার আশঙ্কা ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে উদ্ধৃত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেভাবে কলাপসিবল গেট ভেঙে আক্রমণ করা হয়েছে, জোরপূর্বক উপচার্যের কার্যালয়ে ঢোকা হয়েছে, এটা কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন?’ তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ এখানে জড়িত কেন, সেটি উপাচার্য আমাকে বলেছেন। তাঁকে অবরুদ্ধ করার পর সেখানে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও গেছে।’

এমজে/