ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

তিন সিটিতেই আ.লীগের জয় দেখছেন সজীব ওয়াজেদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৯, ২৯ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৪৬, ২৯ জুলাই ২০১৮

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের বিজয় দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

আজ রোববার তাঁর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে একটি প্রতিষ্ঠানের করা জনমত জরিপের বরাত দিয়ে লিখেন, আমি যথেষ্ট আস্থা নিয়ে বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হবে। সিলেটেও আমরা সামান্য এগিয়ে। তবে সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

নিজের ভেরিফাইড পেইজে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেন, তিনি নির্বাচনের আগে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিন সিটিতে এ জরিপ করান। জুলাই মাসেই জরিপটি করা হয় বলে জানান জয়।

আরডিসির করা জরিপে দেখা গেছে, বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোটার। বিএনপির মুজিবুর রহমান সারোয়ারের প্রতি ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। দোদুল্যমান ভোটারের সংখ্যা ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি—এমন ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ১৪ শতাংশ। মোট ১ হাজার ২৪১ জন ভোটার এই জরিপে অংশ নেন।

আরডিসির করা জরিপে সিলেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৩৩ শতাংশ ভোট পেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। আর বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী পাবেন ২৮ দশমিক ১ শতাংশ।

গবেষণার পদ্ধতি এবং জরিপের কৌশলগত নানা দিকও তুলে ধরেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি লিখেছেন, তিন সিটির ভোটার তালিকা ধরেই এ জরিপ হয়েছে। সেখানে আদমশুমারিতে জনসংখ্যার লিঙ্গভিত্তিক যে ধরন আছে, তার ওপর ভিত্তি করেই এ জরিপ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে থেকেই জরিপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জরিপে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে অংশগ্রহণকারীরা তিনি সিটির ভোটার। এখানে গ্রহণযোগ্য ভুলের মাত্রা (margin of error) হলো ২ দশমিক ৫।

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, পাঁচ বছর ধরে আরডিসির মাধ্যমে আমি জনমত জরিপের কাজ করছি। তাঁরা যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন এবং যে ফলাফল বেরিয়ে আসে, সেসব গবেষণা থেকে তা নির্ভুল। তবে এও ঠিক, এবার যে জরিপের ফল তুলে ধরলাম, তাতে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ, এ জরিপ হয়েছে মাসজুড়ে।

জরিপের ফল ও তার বক্তব্য এখানে হুবহু দেওয়া হল-

বরিশাল

সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ (আওয়ামী লীগ)-৪৪ দশমিক শূন্য শতাংশ

মজিবর রহমান সরোয়ার (বিএনপি)-১৩ দশমিক ১ শতাংশ

অন্যান্য প্রার্থী- শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ

সিদ্ধান্তহীন-২৩ দশমিক ৫ শতাংশ

জবাব দিতে অস্বীকার-১৫ দশমিক ৯ শতাংশ

এক হাজার ২৪১ ভোটারের ওপর এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে।

রাজশাহী

খায়রুজ্জামান লিটন(আওয়ামী লীগ)-৫৮ দশমিক শূন্য শতাংশ

মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল (বিএনপি)-১৬ দশমিক ৪ শতাংশ

অন্যান্য প্রার্থী- শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ

সিদ্ধান্তহীন- ১২ দশমিক ৩ শতাংশ

জবাব দিতে অস্বীকার- ৯ দশমিক ৬ শতাংশ

এক হাজার ২৯৪ ভোটারের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।

সিলেট

বদরউদ্দিন আহমদ কামরান (আওয়ামী লীগ)-৩৩ দশমিক শূন্য শতাংশ

 

আরিফুল হক চৌধুরী (বিএনপি)-২৮ দশমিক ১ শতাংশ

অন্যান্য প্রার্থী-১ দশমিক ৩ শতাংশ

সিদ্ধান্তহীন-২৩ দশমিক শূন্য শতাংশ

জবাব দিতে অস্বীকার-১২ দশমিক ৬ শতাংশ

একহাজার ১৯৬ ভোটারের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।

বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট শহরে ২০১১ সালের আদমশুমারির বয়স বিভাজন ও সিটি কর্পোরেশনগুলোর ভোটার তালিকার ভিত্তিতে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভোটার নিবন্ধের তালিকায় থাকা ঠিকানা ধরে জরিপে অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়।

সিটি কর্পোরেশনের ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদেরই কেবল জরিপে প্রশ্ন করা হয়েছে। এতে মার্জিন অফ এরর হতে পারে প্রায় +/- ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেন, আপনারা এবারের গাজীপুর নির্বাচনে বিএনপি নেতাদের রেকর্ড করা কথোপকথন শুনেছেন। প্রচারের সময় ভোটারের সঙ্গে যখন কথা বলেছেন, তখন তারা বুঝতে পেরেছেন তাদের জয়ের কোনো সুযোগ নেই। ফলে তারা এখন নির্বাচনী বিতর্ক তৈরি করতে আওয়ামী লীগকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করবে।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি