ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

তুলা আমদানিতে এক নম্বরে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৯:১৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিশ্বের এক নম্বর তুলা আমদানিকারক দেশ এখন বাংলাদেশ। এক দশক আগেও বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়ের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। কিন্তু এখন দেশের কারখানাগুলো নিজেরাই তৈরি কপড়ের চাহিদা পূরণ করছে। আর এই কাপড় তৈরি করতে যে পরিমাণ তুলা দরকার হয় তার ৯৭ শতাংশ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়।

বাংলাদেশ মূলত ভারত, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এই তুলা আমদানি করে।

বাংলাদেশ কটন এসোসিয়েশনের পরিচালকদের একজন মোহাম্মদ আইয়্যুব জানান, "টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পে সবচাইতে বেশি তুলা দরকার হয়। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশই যে খাত থেকে আসে তার জন্য সবচাইতে দরকারি কাঁচামাল হল সুতা ও কাপড়। সেটি তৈরিতে বাংলাদেশের গত এক বছরে ৬৫ লক্ষ বেল তুলার দরকার হয়েছে।"

কয়েক দশক আগেও বাংলাদেশে স্পিনিং মিলের সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু বর্তমানে ৪২৫টি স্পিনিং মিল ও প্রায় ৮০০ টির মতো টেক্সটাইল কারখানাতে আমদানি করা সুতা ব্যবহৃত হচ্ছে।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের রপ্তানি আয় এখন বছরে ৩০০ কোটি ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে এটিকে ৫০০ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কিন্তু বাংলাদেশ নিজেরাই কেন এই তুলা উৎপাদন করছে না এ বিষয়ে বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মোট কৃষি জমি সাড়ে ৮০ লক্ষ হেক্টর। তা দিয়ে বাংলাদেশ মূলত খাদ্য চাষ করে।

তিনি জানান, "তুলা চাষ করতে বেশ লম্বা সময় লাগে। যেমন ধরুন, তুলা ওঠা পর্যন্ত ছয় মাসের মতো অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ঐ সময়ে কৃষকরা দুটি শস্য তুলে ফেলতে পারে।"

সেক্ষেত্রে তুলাকে প্রতিযোগিতায় নামাতে হবে সবজি ও কলার সঙ্গে। কিন্তু এত বেশি মানুষের খাদ্যের যোগান যে দেশে করতে হয় সেখানে সেটি সম্ভব নয়। বিবিসি বাংলা

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি