ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৮, ১৯ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১২:১৯, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

জিয়া চ্যারেটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং পরে জামিন আবেদন করেন।

বিএনপির চেয়াপারসনের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার। তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জামিন চান। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

শুনানিতে খালেদার আইনজীবী জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, খালেদা জিয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেননি। তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। তিনি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, জামিন দিলে পলাতক হবেন না।

শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেছেন, আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ দেন। তবে আদালত বলেছেন, মামলা চলাকালে ভবিষ্যতে বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খালেদা জিয়া বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা হন। লন্ডনে চিকিৎসা ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ৯৪ দিন পর বুধবার বিকালে ঢাকায় ফিরেন।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এর মধ্যে দুটি মামলায় জামিন পেলেন, দুপুরে জেলা জজ আদালতে আরেকটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন খালেদা জিয়া।

এ ছাড়া বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত ৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন বেগম। এ ছাড়া ১২ অক্টোবর মানহানির মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ১৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন। বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগে থেকেই লন্ডনে অবস্থান করছেন। এ সময়ই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি