ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

‘দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিদের প্রজ্ঞার আলোয় আলোকিত করার মিশন যার’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:১৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১০:৫১, ৩ মে ২০১৮

অধিকাংশ মানুষই গতানুগতিক জীবন যাপন করে। টাকা আয় করে, খায়, ঘুমায়। নিজেকে নিয়েই তারা বাঁচে। সমাজে কিছু মানুষ আছেন যারা নিজের ভালো থাকাতেই সন্তুষ্ট নয়। আশেপাশের মানুষের মুখেও হাসি ফোটাতে চান। মানুষের জন্য কাজের মধ্যেই খুঁজে নেন জীবনের স্বার্থকতা।

নাজিয়া জাবীন এমনই একজন ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক। তিনি বাংলাদেশে ব্রেইল পদ্ধতিতে সৃজনশীল বই প্রকাশের পথ প্রদর্শক। `ব্রেইল পদ্ধতি` হলো দৃষ্টিহীণ শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশুনার একটি বিশেষ পদ্ধতি যা ১৮২১ সালে ফরাসি নাগরিক লুই ব্রেইল আবিষ্কার করেন।

দেশে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনায় ব্রেইল পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। কিন্তু সৃজনশীল পড়াশুনা বা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ব্রেইল পদ্ধতিতে ছাপানো বই না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছিল দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা। নাজিয়া জাবীনই প্রথমে এদেশে ব্রেইল পদ্ধতিতে সৃজনশীল বই প্রকাশ ও বিনামূল্যে বিতরণের ঝুঁকি নেন।

অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় বাংলা একাডেমীতে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনার একটি স্টল আপনারা অনেকে দেখেছেন নিশ্চয়। দোকানের বাইরে সাইনবোর্ডে সুন্দর করে দুটি লাইন লিখা। তাতে লিখা ` মানুষ দৃষ্টিহীন বলেই অন্ধ নয়, মানুষ মূলত প্রজ্ঞাহীন বলেই অন্ধ।` এই লাইনটি নাজিয়া জাবীনকে প্রতিনিয়ত কাজের অনুপ্রেরণা দেয়।

`দৃষ্টিহীন` বা ` দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী` শব্দগুলো ব্যবহারে চরম আপত্তি নাজিয়া জাবীনের। তিনি বলেন, `দৃষ্টিজয়ী`। প্রজ্ঞাহীন মানুষ প্রজ্ঞাবান হয় বইয়ের স্পর্শে। দৃষ্টিহীনদের প্রজ্ঞা জাগাতে, বা তার ভাষায় দৃষ্টিজয়ী করতে নিরলস কাজ করে যাওয়া এই আলোকিত মানুষটি প্রতিবছর নিজ উদ্যোগে বইমেলায় ব্রেইল পদ্ধতিতে লিখা প্রচুর সৃজনশীল বই দৃষ্টিজয়ীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করে থাকেন। বর্তমানে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনীর কর্ণধার হিসেবে কাজ করছেন দৃষ্টিজয়ীদের জন্য ব্রেইল বই প্রকাশে।

বাংলা একাডেমী চত্বরে ব্রেইল প্রকাশনার স্টলে বসে তিনি জানিয়েছেন দৃষ্টিজয়ী মানুষদের নিয়ে তার স্বপ্নের কথা। তার সঙ্গে হওয়া আলাপচারিতা তুলে ধরেছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইনের প্রতিবেদক আলী আদনান

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আপনি একজন লেখক। সৃজনশীল ব্রেইল বই প্রকাশের চিন্তা মাথায় কীভাবে এল?

নাজিয়া জাবীনঃ আমার প্রথম ছড়ার বইটা যখন প্রকাশিত হলো তখন সেই অনুষ্ঠানে অনেক `দৃষ্টিজয়ী` বন্ধুরা এসেছিলেন। কারণ, তখন আমি `প্রেরণা` নামে দৃষ্টিজয়ীদের একটি সংগঠনে কাজ করতাম। একসময় দেখলাম, তারা বইটা তো পড়তে পারছে না, কিন্তু নেড়েচেড়ে দেখছেন। আবার কেউ কেউ বইয়ের গন্ধ শুঁকছেন।  কেউ কেউ দূরে গিয়ে আঙ্গুল দিয়ে ঘষে ঘষে বইয়ের পৃষ্ঠা গুণছে। এ দৃশ্য আমার ভেতরটাকে ধাক্কা দেয়। আমি উপলব্ধি করি, তারও পড়ার অধিকার আছে। উন্নত বিশ্বে তার মত দৃষ্টিজয়ীরা পড়াশুনা করছে। আমাদের দেশেও পুরনো ব্রেইল পদ্ধতি চালু আছে। তাহলে তো আমাদের দৃষ্টিজয়ী বন্ধুরাও সৃজনশীল বই পড়ার সুযোগ পাওয়ার কথা। এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমি টঙ্গী ব্রেইল প্রেসে যাই। এটি সরকারী। গিয়ে দেখি বেহাল দশা। প্রায়ই বন্ধ থাকে। এরপর আর কোথায় কোথায় কী আছে খোঁজখবর নেয়া শুরু করলাম। এসব করতে করতে ২০০৮ সাল চলে যায়। ২০০৯ সালে আমার লিখা একটি ছড়ার বই `ছড়ার তালে মনটা দোলে` নামে একটা বই ব্রেইল পদ্ধতিতে বের করি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশিত প্রথম সাহিত্যের বই।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ তারপর প্রকাশনায় কীভাবে এলেন?

নাজিয়া জাবীনঃ যেসব দৃষ্টজয়ী বন্ধুদের বইটা দিয়েছিলাম, তাদের স্কুলে গিয়ে দেখলাম বইটার ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখা উঁচু উঁচু অক্ষরগুলো সমান হয়ে গেছে। তারা বইটি পড়তে পারছেনা। তখন ভাবলাম, তাহলে কী করা যায়? এরপরে আমারই লেখা `বিনির সাথে পুতুলের বিয়ে` বইটির ব্রেইল বের করলাম। একসময় মনে হলো তাদের পড়ার চাহিদা এতো বেড়ে গেছে শুধুমাত্র আমার লিখা বই দিয়ে তাদের তৃষ্ণা মেটানো সম্ভব না। তখন আমি ব্রেইল পদ্ধতিতে সাহিত্যের বই প্রকাশের জন্য বিভিন্ন প্রকাশকের কাছে গেলাম। সাহিত্য প্রকাশের মফিদুল হক প্রথম এগিয়ে আসলেন। তিনি প্রায় সাতটি বই আমাকে দিলেন। বললেন, তুমি এগুলো ব্রেইল কর। আমি আছি তোমার সঙ্গে। এই সাতটি বই নিয়ে আমরা ২০১১ সালে বই মেলায় আসলাম। ভেবে দেখলাম, মানুষকে জানান দিতে হবে। যখন সাধারণ মানুষ জানবে, দৃষ্টিজয়ীরা পড়তে জানে কিন্তু তাদের বই নেই, তখন আমরা ব্রেইল পদ্ধতিতে সাহিত্য রচনার জন্য দাবি তুলতে পারব। একটা জোরালো আওয়াজ বের হবে। ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমী আমাদের সহায়তা করলেন। আমরা একটি স্টল পেলাম। দেখা গেল প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। দৃষ্টিজয়ী বন্ধুদের ভিড় বাড়ছে। তারা গড়গড় করে পড়তে পারে। অথচ তাদের হাতে বই নেই। তখন আমাদের দুটি স্টল দেওয়া হলো। মানুষ এসে ভিড় করে। দৃষ্টিজয়ী বন্ধুদের পড়া শুনে। ২০১৬ সালে বাংলা একাডেমী আমাদের স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনীর সহায়তায় প্রথম ব্রেইল বইটি বের করলেন। বইটি হলো সৈয়দ শামসুল হকের ছোটদের জন্য লিখা `বঙ্গবন্ধুর বীর গাঁথা`। মেলা মঞ্চে এটার মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা এতে নতুন করে অনুপ্রাণিত হলাম।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ এ পর্যন্ত কতগুলো বই স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা থেকে বের হয়েছে? অন্য বাণিজ্যিক প্রকাশনার সঙ্গে আপনাদের মৌলিক পার্থক্যটা কী?

নাজিয়া জাবীনঃ আমরা এ পর্যন্ত ৬১ টি বই বেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি। আরো প্রচুর বই প্রকাশের কাজ চলছে। অন্য প্রকাশনার সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় মৌলিক পার্থক্য হলো আমরা বাণিজ্যিক প্রকাশনা নই। স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে দৃষ্টিজয়ী বন্ধুদের মাঝে আমরা বই বিতরণ করি।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কি পরিমান ব্রেইল স্কুল আছে? ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশুনা করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত?

নাজিয়া জাবীনঃ দেশে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার জন্য ব্রেইল স্কুল অনেক আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতি জেলায় একটি করে স্কুল আছে। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য, কখনো নির্দিষ্ট কোন জরিপের আওতায় ব্রেইল শিক্ষার্থীদের আনা হয়নি। ফলে বর্তমানে কী পরিমাণ শিক্ষার্থী ব্রেইলে পড়াশুনা করতে পারে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা ধরে নিই দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১০% কোন না কোন ভাবে শারীরিকভাবে অক্ষম। তাদেরই ১০% দৃষ্টিজয়ী। এবং এরাই ব্রেইলে পড়াশুনা শেখার অধিকার রাখে।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ সাধারন পড়াশুনার চেয়ে ব্রেইল কী ব্যয়বহুল নয়? এর প্রতিবন্ধকতাগুলো কেমন?

নাজিয়া জাবীনঃ অনেক ব্যয়বহুল। কারণ ব্রেইলে এক পৃষ্ঠা মানে সাধারণে তিন পৃষ্টা। প্রতিটি পাতা প্রিন্ট করতে সাত থেকে দশ টাকা খরচ হয়। তারপর স্পাইরাল বাইন্ডিং করতে হয়। দৃষ্টিজয়ী বন্ধুরা টেপ শোনে। ক্লাসে স্যারের লেকচার শোনে। স্যারের লেকচার রেকর্ড করে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় তাদের পরীক্ষার সময়। পরীক্ষার হলে তাদের একজন হ্যান্ডরাইটারের দরকার হয়। কিন্তু হ্যান্ডরাইটার পাওয়া যায় না। হ্যান্ডরাইটারের সাহায্য ছাড়া পরীক্ষা দেওয়া যায় না। কারণ শিক্ষক তো আর ব্রেইল চেক করতে পারেনা। এসব নিয়ে দৃষ্টিজয়ী বন্ধুদের প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষা কতটুকু মানসম্মত হয় তা ভাবার বিষয়। আমার মনে হয়, ব্রেইল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় মৌখিক পরীক্ষার নাম্বার বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাদের পুরো পরীক্ষাটা যদি মৌখিক পদ্ধতিতে করা যায় তাহলে আরো ভাল হয়।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনায় কী পর্যাপ্ত ব্রেইল বই পাওয়া যায়?

নাজিয়া জাবীনঃ প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনায় ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত ব্রেইল বই পাওয়া যায়। তবে তা পর্যাপ্ত সে কথা বলা যাবেনা। একটা বই পাঁচ ছয় জন মিলে ভাগ করে পড়তে হয়। ২০১৩ সালে শিক্ষামন্ত্রী মেলায় এসেছিলেন। তখন আমরা সবাই মিলে ধরেছিলাম। বলেছিলাম, সাধারণ বই যদি বছরের প্রথম দিন পাওয়া যায়, তাহলে ব্রেইল বই কেন পাওয়া যাবেনা। তিনি প্রথমে একটু থতমত খেলেও পরে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে অল্প অল্প ব্রেইল বই স্কুলে আসছে এবং সেই বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ সাহিত্য বা সৃজনশীল পড়াশুনার অন্যান্য শাখায় পড়াশুনার ব্যাপারে অভিভাবকদের উৎসাহ কেমন?

নাজিয়া জাবীনঃ অভিভাবকদের উৎসাহ প্রচুর। এই যে আমার এখানে মুমুর মা আছেন। মুমু যখন মাত্র তিন বছর বয়সী তখন খেলতে গিয়ে তার মাথায় টেলিভিশন পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় মুমু দৃষ্টিশক্তি হারায়। তাকে নিয়ে তার বাবা মায়ের অনেক উৎসাহ। সে অন্য সবার মতো নিজের পায়ে দাঁড়াবে। সমাজে একজন হবে। শুধু মুমু নয়, মুমুর মতো অনেকেই রোজ মেলায় আসছে। আমাদের স্টলে ভিড় করছে। খেলছে, দৌড়াচ্ছে, হৈচৈ করছে। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশে এমন অভিভাবকদের জন্য একটা কাউন্সিলিংয়ের জায়গা প্রয়োজন। মাঝে মাঝে অভিভাবকরা হাঁপিয়ে উঠেন। আবার কখনো হতাশা দেখা দেয়। কিন্তু তাদের জন্য কোন কাউন্সিলিং সেন্টার নেই। কোন তথ্যকেন্দ্র নেই। এটা খুব জরুরি।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ দৃষ্টজয়ী বন্ধুরা আপনার কাছে সাধারণত কী ধরনের বই খোঁজ করে?

নাজিয়া জাবীনঃ বাচ্চারা সাধারণত ভূতের বই, গোয়েন্দা কাহিনী, সায়েন্স ফিকশন পছন্দ করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ছে তারা কিন্তু এসবে সন্তুষ্ট না। তারা এখন বলে, `আপু, আপনি যদি ভালবাসা দিবসে প্রেমের কবিতা পড়তে পারেন, আমরা কেন পারব না?`। আসলে তারা তাদের বয়স ও সময়োপযোগী বই প্রত্যাশা করে। কিন্তু আমরা বই দিতে পারছি না। বাজারে বই নেই। এবার আমরা দশবছর পূর্তিতে তাই একটা মজার কাজ করলাম। আল্পনা হাবীব ও লবি রহমানের রেসিপি নিয়ে রান্নার বই বের করলাম। কারণ দৃষ্টিজয়ী বন্ধুরা রান্না করতে ভালবাসে। আমি যেহেতু শিশুতোষ লেখক, শুরু করেছিলাম শিশুতোষ লেখা দিয়ে। তখন আমি ভাবিনি একদিন এতবড় দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। এখন সময় আমাকে বলছে শুধু শিশুতোষে আবদ্ধ থাকলে হবেনা। পাশাপাশি আমরা তাদের অন্যান্য বিষয় নিয়েও ভাবছি। প্রত্যেক বছর `নারীপক্ষ` নামে একটি সংগঠন মেয়েদের নানা রকম স্বাস্থ্যতথ্য দিয়ে থাকেন। তাদের এমন অনেক প্রশ্ন আছে যা আমাদের করতে পারেন না। তারা তাদের সেসব বিষয়ে জানার যেন সুযোগ পায় আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ রাষ্ট্রের কাছে সমাজের কাছে কোন প্রত্যাশা থাকলে বলতে পারেন?

নাজিয়া জাবীনঃ প্রত্যাশা নয়, স্বপ্ন বলি। প্রথম স্বপ্নটি হলো দেশের সব শিশুর হাতে বই উঠবে। একটি বাচ্চাও পড়াশুনার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেনা। দ্বিতীয়টি স্বপ্নটি হলো একটি ব্রেইল লাইব্রেরী বা ব্রেইল কর্ণার করা। দেশে অনেক বিত্তবানরা আছেন। ধনী ব্যক্তিরা চাইলে এটা করা সহজ। তেমন কেউ স্বেচ্ছায় আগ্রহী হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সময় দেয়ার জন্য।

নাজিয়া জাবীনঃ সাংবাদিক ভাইদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি