ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

দেখে আসুন জৈন্তাপুর ডিবির বিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:২০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

লতা-পাতা গুল্মে ভরা বিলের পানিতে শত সহস্র ফোটা লাল শাপলা যেন হার মানায় সূর্যের আভাকেও। সবুজ পাতার আচ্ছাদনে ঢাকা পড়েছে বিস্তীর্ণ জলরাশি। লাল শাপলার হাঁসি যেন মনের বন্ধ দুয়ার খুলে দেয়।

আর এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সাক্ষাত পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত পাশাপাশি চারটি বিলে। সেখানে গেলেই দেখা মিলবে চোখজুড়ানো এমন দৃশ্যের। এ রকম অপরূপ সাজে সেজে রয়েছে বিলগুলো।

স্থানীয়দের কাছে এই বিল পরিচিত ‘ডিবি বিল’নামে। বিলগুলোর নাম হচ্ছে ডিবি বিল, কেন্দ্রী বিল, হরফকাটা বিল ও ইয়াম বিল। চারটি বিলের অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে।

গন্তব্য স্থলে পৌঁছালে দূর থেকেই দেখবেন সবুজের মধ্যে অসংখ্য ক্ষুদ্র লাল বৃত্ত। দূরত্ব কমার সঙ্গে সঙ্গে একসময় স্পষ্ট হয়ে উঠবে আগাছা আর লতা-পাতা গুল্মে ভরা বিলের পানিতে শত সহস্র লাল শাপলা। দেখে মনে হবে, পুব আকাশে সূর্যের লাল আভা যেন হার মেনেছে রক্তিম শাপলার কাছে।

বিলের মাঝে আগাছা আর লতা-পাতায়, বিলের হাজারো শাপলা, চোখ জুড়ায় পথচারীদের। বিলের যতই কাছে যাওয়া যায়, ততই বাড়তে থাকে লালের আধিক্য। প্রায় ৭০০ একর জায়গায় বিস্তৃত চারটি বিলের পুরোটাই ঢাকা পড়েছে শাপলায়।

প্রস্ফুটিত শাপলা ফুল দেখতে অনেকটা আলোকরশ্মির মতো। এসব শাপলা ফুটে রাতের স্নিগ্ধতায় আর দিনের আলোতে আস্তে আস্তে বুজে যায়। একটি শাপলার স্থায়িত্ব প্রায় সাতদিন পর্যন্ত থাকে। চাইলে আপনি ডিবির হাওরে নৌকায় নিয়ে ঘুরতে পারেন।

হওরে নৌকায় ঘোরার মজাই আলাদা। এখানে দেখতে পাবেন বিল অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা। এখানকার মহিলারা হাতের কাজ করে। তারা বাঁশের টুকরি, ডালা, কুলাসহ সব ধরনের বাঁশের কাজ করে। আর এই বাঁশগুলো বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের কাছে পাওয়া যায়। বিলবাসী মানুষের জীবনধারণ বিচিত্র ডিবি হাওর এলাকায়।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল এবং মহাখালী থেকে অসংখ্য গাড়ি ছেড়ে যায়। সিলেট শহরে নেমে বন্দর বাজার পয়েন্ট থেকে জৈন্তাপুর বাজারে যেতে হবে আপনাকে। এর কিছুদূর গেলে দেখা যাবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ডিবির হাওর বিশেষ ক্যাম্প। ওই পথ ধরে কিছু দূর গেলে দেখা মিলবে বিলের। বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকারে সময় লাগবে এক ঘণ্টা।

প্রয়োজনীয় তথ্য: বিলের আসল সৌন্দর্য দেখতে হলে রোদের তীব্রতা বাড়ার আগে যাওয়ায় উচিত। সঙ্গে হালকা খাবার ও পানি নিয়ে যেতে পারেন। রোদের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য ছাতা নিতে পারেন। তবে কেউ ভুলেও ভারত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন না।

আর/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি