ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

দেড়শ বছর পর ‘সুপার ব্লু ব্লাড মুন’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:২০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যেক হুমায়ূন আহমেদ জীবিত থাকলে হয়তো একটি গান বা উপন্যাসই লিখে ফেলতেন। জোছনা বিলাসের প্রতি এই সাহিত্যিকের ছিল দুর্বার দুর্বলতা।

বিষয় হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি পৃথিবীবাসী উপভোগ করবে এক পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। তবে এ চন্দ্রগ্রহণ কোন সাধারণ গ্রহণ না। এ মাসেই ইতোমধ্যে আরও একবার চন্দ্রগ্রহণ উপভোগ করেছে বিশ্ববাসী। বরং বিগত দেড়শ বছরের মধ্যে প্রথমবার হতে যাচ্ছে ‘সুপার ব্লু ব্লাড মুন’।

বাংলায় সহজ করে বলতে গেলে, এদিন পূর্ণ পূর্ণিমার আলো দেবে চাঁদ। তবে চিরাচরিত সাদা হবে চাঁদের সে জোছনার রঙ। পূর্ণ রক্তিম রঙ্গে নিজেকে সেদিন রাঙ্গিয়ে নেবে চাঁদ মামা।

বৈজ্ঞানিক ভাষায়, ৩১ জানুয়ারিতে সূর্যকে পুরোপুরি গ্রাস করবে চাঁদ। পৃথিবী আর সূর্যের মাঝে চাঁদ অবস্থান করবে এক সরলরেখায়। আর এতেই সূর্যের ‘কমলা’ আভায় নিজে রক্তিম হয়ে উঠবে চাঁদ।

রাশিয়া, এশিয়া, ভারত মহাসাগর এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে দেখা যাবে এ বিরল দৃশ্য। যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর ইউরোপের কিছু অংশের সৌভাগ্যবান মানুষেরা চাঁদের এ রূপ চাক্ষুষ দেখতে পারবেন। বাকিদের দেখতে হবে খবরের কাগজে অথবা কম্পিউটারের পর্দায়।

কীভাবে লাল হবে চাঁদ?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর দক্ষিণ ছায়াবৃত্ত থেকে ধীরে ধীরে চাঁদ নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে শুরু করবে। এক সময় তা সূর্যকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলবে। আর তখনই লাল হয়ে উঠবে চাঁদ। পুরো প্রক্রিয়াটি চলবে ৭৭মিনিট পর্যন্ত।

কেন এত উন্মাদনা?

চাঁদ নিয়ে যারা ঘাটাঘাটি করেন চাঁদের এই ‘রক্তাক্ত রূপ’ দেখতে নড়েচড়ে বসেছেন তারা। নড়েচড়ে না বসে উপায়ও নেই অবশ্য।

এর আগে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের পূর্ণিমা পৃথিবীবাসী দেখেছিল ১৮৬৬ সালের ৩১ মার্চে। আর আগামী ৩১ তারিখের পর পরবর্তী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এরপর ২০৩৭ সালের ৩১ জানুয়ারি। তবে সে চন্দ্রগ্রহণগুলোও এবারের মত লাল হবে না। আর সে কারণেই পৃথিবী জুড়ে এত উৎসাহ উদ্দীপনা।

সূত্র: জি নিউজ

এস এইচ এস//টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি