ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নিখোঁজ যোদ্ধার পরিচয় মিলল ডিএনএ টেস্টে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৪, ২৩ জুন ২০১৮

১৯৬৪ সালে নিখোঁজ এক ব্যক্তির পরিচয় অবশেষ জানা গেলো। ডিএনএ বা মানুষের কোষের জীন বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে নিখোঁজ ওই ব্যক্তির সঠিক পরিচয়। নিখোঁজ ওই ব্যক্তি ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন নেভির এক নাবিক ও যোদ্ধা।

নিখোঁজের পর যে পরিচয় নিয়ে ঐ ব্যক্তি জীবনযাপন করেছেন তা যে ভুয়া ছিলো তা নিশ্চিত হওয়া গেছে ডিএনএ প্রতিবেদনে। পাশাপাশি জানা গেছে তার আসল পরিচয়। ঐ ব্যক্তির নাম ছিলো রবার্ট ইভান নিকোলাস।

২০০২ সালে ৭৬ বছর বয়সে ওহাইও’তে আত্মহত্যা করেন তৃতীয় জোসেফ নিউটন চ্যান্ডলার নামের এক ব্যক্তি। পুলিশ যখন এক সপ্তাহ পর তার বাসার টয়লেট থেকে জোসেফের মৃতদেহ পায় তখন তারা জানলেন যে, এই পরিচয়টি ভুয়া। এই পরিচয়ে যে মানুষ ছিলেন সে ছিলেন আট বছর বয়সী একজন বালক। ঐ বালকটি সপরিবারের সড়ক দূর্ঘটনায় ১৯৪৫ সালে নিহত হয়। আর এই তথ্য জানার পরই নড়েচড়ে বসে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

শেষমেশ মামলার তদন্তভার আসে মার্কিন পিট এলিওটের হাতে। তিনিই শেষ পর্যন্ত সমাধান করেন পাঁচ দশকের দীর্ঘ এই রহস্যের।

২০১৪ সালে মামলার দায়িত্ব নেন এলিওট। তিনি দেখলেন যে, জোসেফ মৃত্যুর দুই বছর আগে একটি হাসপাতালে নিজের কিছু টিস্যুর নমুনা জমা দিয়েছিলেন। সেই নমুনা থেকেই এলিওট উদ্ধার করেন জোসেফের আসল পরিচয়।

তৃতীয় জোসেফ নিউটন চ্যান্ডলার নামের এই ব্যক্তির প্রকৃত নাম রবার্ট ইভান নিকোলাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন নেভীর হয়ে যুদ্ধ করেছেন। রবার্টের জীবনে এক স্ত্রীসহ আছে তিনটি সন্তান।

গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানান মার্শাল এলিওট। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আসল নিকোলাসের ছেলে ফিল নিকোলাস। তিনি বলেন, “আমি যখন তাঁর ছবি দেখলাম তখনই বুঝেছি যে, এটি আমার বাবা রবার্ট নিকোলাস”।

সংবাদ সম্মেলনে এলিওট বলেন, “জোসেফ তার জীবন উপভোগ করতে পারেনি। তার জায়গায় অন্য কেউ তার জীবনটি ভোগ করেছে”।

তবে নিকোলাস কেন ১৯৬৪ সালে জোসেফ হলেন সেই রহস্য এখনও অজানাই আছে।

সূত্রঃ সিএনএন

//এস এইচ এস// এআর  


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি