ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ধর্ষণ হয়ে থাকলে দায়ীদের কঠোর শাস্তি: মিয়ানমার সেনাবাহিনী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৯, ১ মে ২০১৮ | আপডেট: ২৩:১০, ১ মে ২০১৮

মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনায় রোহিঙ্গা নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকলে আর তাঁর সাথে আইনশৃংখলা বাহিনীর কেউ জড়িতে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমার সফররত জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের আশ্বাস দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনাবাহিনী।

বৈঠকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং লাইং ধর্ষণের মত ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য’ অপরাধ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানায় দেশটির সরকার কর্তৃক প্রকাশিত দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার।

দৈনিকটির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায় যে, ধর্ষণের ঘটনায় যে বা যারাই জড়িতে থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাহিনীটির প্রধান।

গত বছরের আগস্ট থেকে রাখাইনে চলমান সহিংসতায় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। সেসময় সেখানকার গ্রামগুলোতে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণের মত গুরুতর অপরাধের কথা জানিয়েছে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা।

জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের পুলিশ-সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনীর এসব হামলাকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

দেশটিতে সহিংস এলাকায় বার বার পর্যবেক্ষক পাঠানোর জাতিসংঘের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর চলতি সপ্তাহে মিয়ানমার প্রবেশে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার মিয়ানমার পৌঁছায় জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল।

চারদিনের সফরে এর আগের দুই দিন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করে এই প্রতিনিধি দল। মিয়ানমারের অবস্থানের শেষ দিন আজ মঙ্গলবার এক বৈঠকে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের এই বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়।

দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে এই বৈঠককে ‘আশাব্যঞ্জক’ হিসেবে দেখছেন প্রতিনিধি দলের সদস্য এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ক্যারেন পিয়ার্স।

মিয়ানমার অবস্থানকালে দেশটির সরকার প্রধান অং সান সুচির সাথে সাক্ষাৎ করে জাতিসংঘের এই উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, রাখাইনে কোন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড হয়েছে কী না তা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেন অং সান সুচি। একই সাথে বহুদিন ধরে সামরিক শাসনের মধ্যে থাকা মিয়ানমারে আইনের শাসন বাস্তবায়নে সরকারের নানান প্রতিবন্ধকতার বিষয়টিও প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন সু চি।

ক্যারেন পিয়ার্স বলেন, “তিনি (সুচি) আমাদেরকে বলেন যে, রাখাইনে যা হয়েছে বা যা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে তা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যদি এমনটা হয়েই থাকে তবে তার প্রমাণ বার্মিজ কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া উচিত। তারা তা তদন্ত করে দেখবে”।

“আমরা এখন সেই লক্ষ্যে কাজ করছি যেন খুব তাড়াতাড়ি আমরা এসব বিষয়ে প্রমাণ জোগাড় করতে পারি। প্রমাণ পাওয়া গেলে আমরা সেগুলো বার্মিজ কর্তৃপক্ষ অথবা অন্য কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দেব”- বলেন পিয়ার্স।

এসএইচএস/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি