ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নদী দখলমুক্ত হবেই : নৌমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩০, ২২ নভেম্বর ২০১৭

দখল হয়ে যাওয়া নদী যে কোন মূলে উদ্ধার করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। একইসঙ্গে ওইসব জায়গায় কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকলে, তা স্থানান্তরে সরকার জায়গা দিবে বলেও তিনি জানান।

এছাড়া নদী দখল ঠেকাতে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশে নদীগুলোর উপর জরিপ চালিয়ে সীমানা পিলার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বুধবার সচিবালয়ে নদী দূষণ রোধ ও নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির ৩৬তম সভাশেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শাজাহান খান।

এসময় তিনি বলেন, নদী দখল করে গড়া উঠা মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুব শিগগিরই স্থানান্তর করা হবে। এদেরকে সরকারি খাস জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

নৌমন্ত্রী আরও বলেন ওইসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারাও ওইসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে একমত হয়েছেন। তবে শর্ত হিসেবে তারা বলছে, এদেরকে সরকারি জায়গা দিতে হবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের খাস জমি বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ঢাকার ৪টি নদীতে সীমানা পিলার স্থাপনের বিষয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, এসব নদীতে ৯ হাজার ৪৭৭টি পিলার স্থাপন করা হয়েছে, যার অর্ধেক নিয়ে আপত্তি তুলেছে দখলকারীরা। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে অনেক পিলার উপড়িয়ে ফেলেছে স্থানীয়রা ।

এসময় নৌমন্ত্রী দখলকারীদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, কেউ সীমানা পিলার উপড়ে ফেললে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে প্রভাবশালী মহলের বাধার কারণে নদী দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের বেগ পেতে হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান বা কর্মকর্তারা দখলী জমি উদ্ধার করতে গেলে প্রভাবশালীরা তাদের বাধা দেয়। এ কারণে জমি দখলমুক্ত করতে একটু সময় লাগছে বলে দাবি করেন তিনি।

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোতে ১৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা) নির্মাণের কাজও খুব দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হলে কেউ নদী দখল করতে পারবে না বলে তিনি মনে করেন।

 

এমজে/টিকে

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি