নব্য জেএমবির ‘ব্যাট উইমেন’ প্রধান গ্রেপ্তার

জাতীয় শোক দিবসে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) হোমায়রা ওরফে নাবিলা নামের এক নারীকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নব্য জেএমবির নারী শাখা ‘ব্যাট উইমেন’-এর প্রধান।

অন্যদিকে জঙ্গি তামিম গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাকিলা আফরোজ ওরফে নিনাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হোমায়রাকে বৃহস্পতিবার ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে বুধবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হোমায়রাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে সিটিটিসির উপকমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, হোমায়রা ওরফে নাবিলা নব্য জেএমবির নারী শাখা ‘ব্যাট উইমেন’-এর প্রধান ছিলেন। ধনাঢ্য ব্যক্তির সন্তান হোমায়রা জঙ্গিকাজে অর্থায়ন করতেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগে জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালিয়ে পুলিশ যে জঙ্গি হামলার চেষ্টা নস্যাৎ করে, সেই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে প্রথমে খুলনা থেকে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী সাইফুলের বন্ধু আবদুল্লাহ বিন মোসাদ্দেক সামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর গত ২০ নভেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হয় করিম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার তানভীর ইয়াসিন করিমকে। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়া হোমায়রা ওরফে নাবিলা হলেন তানভীর ইয়াসিনের স্ত্রী।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম সূত্র জানায়, হোমায়রাই তানভীরকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেন। হোমায়রার সম্পৃক্ততার বিষয়টি তারা আগে জানতে পেরেছিল, তবে তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাকে পুলিশ এত দিন গ্রেপ্তার করেনি।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন হোমায়রা। পরে তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও মালয়েশিয়ায় পড়ালেখা করেছেন। রাজধানীর হাতিরপুলে একটি বিলাসবহুল শপিং মল রয়েছে তার বাবার।

এদিকে তামিম গ্রুপের সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাকিলা আফরোজ ওরফে নিনাকে (২৪) তার নিজ বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার ধূবনী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে লালমনিরহাট পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। আটকের পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

বৃহস্পতিবার হাতীবান্ধার থানার এসআই খন্দকার আল মাহমুদ বাদী হয়ে নিনার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। সাকিলাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আর/টিকে