ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ খাদ্য গুদামে চালের বদলে বাঁশ-কাঠের ‘ড্যামেজ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৪, ২৪ জুলাই ২০১৭

নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে (সিএসডি) চালের বদলে বাঁশ কাঠের ড্যামেজ (বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি এক ধরনের উঁচু ফ্রেম) পাওয়া গেছে। পরে সংশ্লিষ্ট গুদামটি সিলগালা করে দেন পরিদর্শন কর্মকর্তারা।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে গুদামের মজুদের ঘাটতি পূরণ করতে বাজার থেকে নিম্নমানের প্রায় ১০০ টন চাল কিনে  সিল করা গুদামে ঢুকানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুদামের মজুদ যাচাই করতে এরই মধ্যে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের অনুরোধ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম নারায়ণগঞ্জের সিএসডি পরিদর্শনে যান। তারা পরিদর্শনকালে সিএসডির ৮ নম্বর গুদামে চালের স্টোরেজ দেখে মজুদের ঘাটতির সন্দেহ করেন। বিষয়টি গুদামের ম্যানেজার আক্তারুজ্জামানকে জানালে তিনি বলেন, মজুদ ঠিকই রয়েছে। তিনি ত্রিপল দিয়ে ঢাকা একটি স্তূপ দেখিয়ে পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাদের বলেন, চালের স্তূপে পোকা ধরেছে বলে ত্রিপলের নিচে রাসায়নিক দেয়া হয়েছে।

এ সময় কর্মকর্তারা ত্রিপল সরিয়ে দেখেন সেখানে চালের পরিবর্তে বাঁশ ও কাঠের ড্যামেজ রাখা আছে। সঙ্গে সঙ্গে গুদামটি সিলগালা করে সিএসডি ত্যাগ করেন ওই দুই কর্মকর্তা। এ ঘটনায় সিএসডিজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

এদিকে শনিবার রাত ও রোববারে সিএসডির একটি অসাধু চক্র সিলগালা ভেঙে বাইরে থেকে নিম্নমানের ২১০০ বস্তা চাল ৮ নম্বর গুদামে মজুদ করে। যাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে গুদামের মজুদে ঘাটতি না পান। মজুদ করার পর পুনরায় গুদাম সিলগালা করা হয় বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। সিএসডিতে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তার ভাষ্য, পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে সিলগালা ভেঙে নিম্নমানের চাল এনে ঘাটতি পূরণ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, পরিদর্শনকালে চালের স্তূপ দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়। যে পরিমাণ মজুদ থাকার কথা সে পরিমাণে চাল নেই বলে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে ত্রিপলের অংশবিশেষ খুলে দেখা গেছে সেখানে চাল নেই। রয়েছে বাঁশ ও কাঠের ড্যামেজ। পরে আমরা গুদামটি সিলগালা করে চলে আসি।

এ বিষয়ে গুদাম সিএসডি ম্যানেজার আক্তারুজ্জামানের ভাষ্য, গুদামে চালের মজুদ কম হওয়ার বিষয়ে পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা গুদাম সিলগালা করে চলে গেছেন। চালের পরিবর্তে বাঁশ ও কাঠের ড্যামেজ পাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সিলগালা ভেঙে নিম্নমানের চাল দিয়ে গুদামের মজুদ পূরণ করার কথাও অস্বীকার করেন আক্তারুজ্জামান।

 

//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি