ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন: রাষ্ট্রপতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪২, ১০ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ০০:০২, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরপেক্ষভাবে কর্তব্য পালনের জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক আলোচনা সভায় এ আহবান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার সমুন্নত রেখে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে সর্বোচ্চ দেশপ্রেম, সততা ও আন্তরিকতার সাথে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগের জন্য পুলিশের প্রতি আহবান জানান।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় ‘আইনের শাসন’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণ বিপদে পড়লেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তাই আপনাদের নিকট সেবা নিতে আসা প্রতিটি মানুষই যেন নির্বিঘ্নে সেবা পেতে পারে- সে ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে।’

আবদুল হামিদ বলেন, সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ একটি সেবাধর্মী ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে বলে জনগণ প্রত্যাশা করে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশের অসামান্য সক্ষমতা জনজীবনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনেও তারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে বলেও জানান তিনি।

শান্তিরক্ষা মিশনে নারী পুলিশ সদস্যদের সক্ষমতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুলিশের সফল ও গৌরবময় ভূমিকা বাংলাদেশকে এক অনন্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। পুলিশ সদস্যদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশে যে সম্মান অর্জিত হয়েছে তা সমুন্নত রাখতে আপনাদেরকে অবশ্যই নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’ তিনি বলেন, পুলিশের প্রধান ও পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাজায় রাখা, জনগণের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সমাজকে অপরাধের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষা করা।

রাষ্ট্রপতি সকল পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রতি স্ব স্ব অবস্থান থেকে জনগণকে প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা দিতে সচেষ্ট থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টা জনগণের নির্ভরতা ও আস্থা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি গণমুখী ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।’

পুলিশে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা বাড়াতে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন বাস্তবধর্মী পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের যথাযথ তদন্ত, মাদক সনাক্তকরণ, সাইবার অপরাধ ও অন্যান্য চাঞ্চল্যকর বিষয় উদঘাটনে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার ও ডিএনএ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গোটা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নয়নের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদারে জনগণের সঙ্গে মিলে কাজ করুন।’ রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের নিরাপদ, সুখী ও উন্নত ‘ডিজিটাল সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নে সকলের সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণেরও আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

 

আর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি