ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

ন্যায়বিচার ও নিরাপদে দেশে ফিরতে চায় রোহিঙ্গারা: গুতেরেস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৫, ২ জুলাই ২০১৮

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচার ও নিজ দেশে নিরাপদে ফিরতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

তিনি জানান, কক্সবাজারে আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের হত্যা ও ধর্ষণের যে বিবরণ শুনেছি, তা অকল্পনীয়। তারা ন্যায়বিচার ও নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে চান।

আজ সোমবার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ঘোরার ফাঁকে ক্ষুদে ব্লগ টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে এসে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিজের চোখে দেখলেন, তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা নিজের কানে শুনলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

ট্রানজিট ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন গুতেরেস ও কিম। তারা কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের আরও কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখবেন এবং শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন।

মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর গত দশ মাসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ পাওয়া গেছে তাদের কথায়।

সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে জাতিসংঘ বর্ণনা করে আসছে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলে আসছে,বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা শরণার্থীরা যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে এবং এই প্রত্যাবাসন যাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে হয়, তা নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে মিয়ানমারকে।

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে দুই দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় আসেন আন্তোনিও গুতেরেস ও জিম ইয়ং কিম। তারা জানিয়েছেন, এ সঙ্কট এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। আর রোহিঙ্গা সঙ্কটে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, এই সঙ্কট উত্তরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও অনেক কাজ বাকি, আর সেজন্যই তিনি ও জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে এসেছেন। 

 টিআর/ এআর

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি