ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

প্রশ্নফাঁস বন্ধে দুই কমিটি গঠন হাইকোর্টের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:১৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চলমান এসএসসি পরীক্ষায় টানা প্রশ্নফাঁসের গঠনায় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদের নেতৃত্বে প্রশাসনিক কমিটি এবং ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ কমিটি গঠন করেন। এদিকে প্রশ্নফাঁস প্রতিরোধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এই সময় আদালত বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে আমরা প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করবো।

এদিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেওয়ার জন্য শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, আইন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের ‘ড্রাফটিং উইংয়ের’ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্যপ্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির সচিব-চেয়ারম্যান, বিটিসিএলপ্রধান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক-চেয়ারম্যান, ঢাকা-রাজশাহী, কুমিল্লা-যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে প্রশ্নফাঁস রোধে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতার সমালোচনা করে আদালত বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা জাতির জন্য মাদকাসক্তির চেয়েও ভয়াবহ। এভাবে চলতে পারে না। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে এত দিন যা হওয়ার হয়েছে, সরকারকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। তাই প্রশ্ন ফাঁস রোধে এখন থেকে আমরা হস্তক্ষেপ করব।’

এর আগে আদালতে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা, সিকদার মাহমুদুর রাজি, মো. রাজু মিয়া ও নূর মোহাম্মদ আজমী। রিটকারীদের পক্ষে আদালতে লড়েন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রিট আবেদনে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, সারা দেশে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ সব পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর এটা মহামারী আকারে ধারণ করেছে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, গত পাঁচ বছরে এসব প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সরকার উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, একটি দেশকে ধ্বংসের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়াই যথেষ্ট। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। 

তাই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে জাতির মেধাকে ধ্বংস করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, যেসব পরীক্ষা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। তবে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান আদালতকে বলেন, কিছু জায়গায় সমস্যার কারণে পুরো দেশের পরীক্ষা বাতিল করা ঠিক হবে না। পরে উভয় পক্ষের শুনানিশেষে আদালত একটি রুল জারি করেন।

এদিকে রিটকারীর আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, প্রশাসনিক কমিটির কাজ হচ্ছে, প্রশ্নফাঁস প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, কী কী সমাধান আছে, সেগুলো নির্ধারণ করা।” এদিকে আদেশের কপি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার বড়ুয়া। এদিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দুই কমিটিকেই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি