ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বলিউডে ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫১, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৫৯, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

ঢালিউডে শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ ইস্যুতে নতুন করে দেখা দিয়েছে দেনমোহর ঝামেলা। প্রেম, বিয়ে, সংসার অত:পর বিচ্ছেদ। বাস্তবের জীবনে সিনেমার এই দৃশ্য এখন নিয়মিত ঘটনা। ঢালিউডের দৃশ্যমান এই বিচ্ছেদের ঢোল বলিউডেও কম বাজেনি। নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে প্রেম, ভালোবাসা ও বিয়ে খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাদের সম্পর্ক গড়তে যেমন সময় লাগে না, ঠিক তেমনি সম্পর্ক ভাঙতেও সময় লাগে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে বিচ্ছেদের পর বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ গুণতে হয়েছে অভিনেতাদের। বলিউডে সংসার ভাঙার পর মোটা অঙ্কের অর্থ গুনতে হয়েছে এমন পাঁচটি আলোচিত ও ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদন-

 

কারিশমা কাপুর সঞ্জয় কাপুর

কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষ করেন তিক্ততার মধ্য দিয়ে। শিল্পপতি সঞ্জয়ের সাথে ২০০৩ সালে বিয়ে হয় কারিশমার। দু’পক্ষের দোষারোপের পালা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কোন সমঝোতা না আসায় শেষমেশ ডিভোর্স হয় তাদের। এ বিচ্ছেদে সঞ্জয়ের একটি বাড়ি ছাড়াও ১৪ কোটি রুপির বন্ড পান কারিশমা। তবে এর বদলে ছেলেমেয়ের সঙ্গে ছুটি কাটানোর সুযোগ পান সঞ্জয়।

 

আমির খান রীনা দত্ত

প্রথম স্ত্রী রীনার সঙ্গে আমিরের বিয়ে হয় ১৯৮৬ সালে। আমিরের বয়স তখন মাত্র ২১ বছর। বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন রীনাকে। সঙ্গে ছিলেন কয়েক জন বন্ধু। তাদের ১৬ বছরের সংসার ভেঙে যায় ২০০২ সালে। ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার পর ৫০ কোটির ভরণ পোষণ চেয়েছিলেন রীনা। শেষ পর্যন্ত বেশ বড় অঙ্কের টাকা প্রদান করতে হয় আমিরকে। তবে সঠিক কত টাকায় দেওয়া হয়েছিল তা জানাতে চায়নি কোনো পক্ষই।

 

সঞ্জয় দত্ত রিয়া পিল্লাই

সংসার করার পাশাপাশি দু’জনই জড়িয়ে পড়েছিলেন পরকীয়ায়। সঞ্জয়ের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে মান্যতার। অন্য দিকে, টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে প্রেম চলছিল রিয়ার। ১৯৯৮ সালে বিয়ের পর থেকেই তাদের নিয়ে নানা রসালো কাহিনিতে ট্যাবলয়েডের পাতা ভরে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আর টেকেনি তাদের সংসার। বরং ২০০২ সালে ডিভোর্সের সময় ৮ কোটি রুপি ভরণ পোষণ পান রিয়া।

 

সাইফ আলী খান অমৃতা সিংহ

অমৃতাকে প্রথম দেখার পর তাকে ফোন করে ডিনারের প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন সাইফ। কিন্তু তাতে না বলে দেন অমৃতা। জেদ করেই তার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন সাইফ। ডিনার সেরে আর নিজের বাড়ি ফেরেননি তিনি। নব্বইয়ের দশকে তাদের লিভ-টুগেদারের সেই শুরু। এরপর বিয়ে। ১৩ বছরের ছোট সাইফের সঙ্গে অমৃতা সংসার করেন ১২ বছর। সেই সম্পর্ক শেষ হয় ২০০৪ সালে। ডিভোর্সের সময় ৭ কোটি রুপি ভরণ পোষণ নিয়েছিলেন অমৃতা।

 

হৃত্বিক রোশন সুজান খান

১৩তম বিবাহবার্ষিকীর আগেই সুজানের থেকে আলাদা হওয়ার কথা শুনিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন হৃত্বিক। ২০০০ সালে বিয়ের পর তা শেষ হয় ২০১৪ সালে। ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন শেষ করার আসল কারণ জানা না গেলেও তারা যে এখনও পরস্পরের বন্ধু রয়েছেন তা স্বীকার করেন দু’জনই। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পর সুজানের ভরণ পোষণের জন্য হৃত্বিককে ৪০০ কোটি রুপি দিতে হয়। যদিও পরবর্তীতে হত্বিক এসব খবরকে কেবল গুজব বলেই উড়িয়ে দেন।

সূত্র : জি নিউজ

 

এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি