ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘বাউল বাড়ি’তে চিরনিদ্রায় বারী সিদ্দিকী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৭, ২৫ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৪৩, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নেত্রকোনার কারলি গ্রামে ‘বাউল বাড়ি’র পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকার সরকারি কলেজ মাঠে তার শেষ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা প্রিয় মানুষটিকে শেষবারের মতো ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দুইটা নাগাদ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে বারী সিদ্দিকী মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে আর অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় এক সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বারী সিদ্দিকী। শৈশবে পরিবারের কাছে গান শেখায় হাতেখড়ি হলেও ১২ বছর বয়সেই ওস্তাদ গোপাল দত্তের কাছে তার আনুষ্ঠানিক তালিম শুরু হয়। এরপর ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণীশিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি।
ওস্তাদ আমিনুর রহমান একটি কনসার্টে বারী সিদ্দিকীকে দেখে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। পরে ছয় বছর ধরে তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমানের কাছে প্রশিক্ষণ নেন।
সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাথে যুক্ত হন বারী সিদ্দিকী। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীতে বাঁশির প্রতিও আগ্রহী হয়ে ওঠে বাঁশি ও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন।
দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সাথে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমাতে গান গেয়ে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীত নিয়ে কাজ করা বারী সিদ্দিকী।
তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ ইত্যাদি।

 

এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি