ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিস্ময় বালিকা এস্থার লি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৫, ১৫ আগস্ট ২০১৮

সিডনির পাঁচ বছরের খুদে শিশু এস্থার লি। তার মুখের দিকে তাকালে সত্যি অবাক হতে হয়। নিজের কানকে বিশ্বাস নাও হতে পারে। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এও কীভাবে সম্ভব? বয়স মাত্র পাঁচ। অথচ এই বয়সেই সে ১৯৫টি শহরের নাম অনর্গল বলতে পারে। তাঁর এমন পাণ্ডিত্যের কারণে তাঁকে বিস্ময় বালিকা ছাড়া আর কীই বা বলা যেতে পারে!    

২০১৬ সালে মাত্র তিন বছর বয়সে বিরল কীর্তি করে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল সে। বিশ্বের ১৯৫টি দেশের রাজধানীর নাম এক নিমেষে বলে দিতে পারত। এখন, যত বড় হচ্ছে দুনিয়াকে ততই বিস্মিত করে দিচ্ছে সে। কারণ বর্তমানে এই খুদে শিশু চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারে শেক্সপিয়ারের বড় বড় কবিতাও। এখানেই শেষ নয়। প্রতিভাবান লি এখন তিনটি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। উচ্চারণে শৈশবের ছোঁয়া থাকলেও তার মস্তিষ্ক যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ককেও হার মানায়।

পাঁচ বছরের এই শিশু খেলাধুলো, পড়াশোনা খুব বেশি হলে নাচ-গান নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, এমনটা দেখেই অভ্যস্ত সাধারণ মানুষের চোখ। কিন্তু এস্থার তো আর যে সে মেয়ে নয়। বাবা-মা তাঁকে কী খাইয়ে মানুষ করছেন, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে। সম্প্রতি একটি লাইভ অনুষ্ঠানে শেক্সপিয়রের ‘রোমিও জুলিয়েট’ শুনিয়েছে সে। যা ভাবতেও অনেকের অবাক লাগবে, তা বাস্তবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করে চলেছে লি। স্বাভাবিকভাবেই তার অসামান্য পারফরম্যান্স হাততালি কুড়িয়েছে দর্শকদেরও। শেক্সপিয়ার তার কতটা প্রিয়, সে কথাও জানাতে ভোলেনি খুদে ওস্তাদ। বলে, ‘শেক্সপিয়রের সব লেখাই আমার পছন্দ। উনি দারুণ কবি ছিলেন।’ 

মাত্র ১৮ মাস বয়সেই এস্থারের বাবা-মা বুঝেছিলেন তাঁদের সংসারে বিস্ময় বালিকার জন্ম হয়েছে। কারণ তখন থেকেই তাকে কোনও এক শহরের নাম বললে সে আর তা ভুলত না। এমন সন্তানের জন্ম দিয়ে গর্বিত ও আপ্লুত এস্থারের অভিভাবক।

কেআই/এসি 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি