ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বুম বুম আফ্রিদির সেই ইনিংস!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৫, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

১৯৯৬ সালের শেষ দিকের ঘটনা। পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক সাঈদ আনোয়ারের হাত ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন করেন এক বিস্ময়বালক যার নাম শাহিবজাদা মোহাম্মদ শহীদ খান আফ্রিদি। ২ অক্টোবর নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। সে ম্যাচে ব্যাটিং না পেলেও বোলিংয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

৪ অক্টোবর, ১৯৯৬। ত্রিদেশী সিরিজে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। আফ্রিদির ব্যাটিং অর্ডার এগিয়ে তিন নম্বরে নিয়ে আসেন অধিনায়ক সাঈদ আনোয়ার। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সেলিম এলাহী আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন আফ্রিদি। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং না পাওয়ায় সেটিই ছিলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফ্রিদির অভিষেক ইনিংস। প্রথম বলে কোনো রান পাননি আফ্রিদি। পরের ৩৬ বলে পুরো চিত্রটাই পাল্টে দেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ৩৭ বলেই  তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটি ছিল দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে লঙ্কান কিংবদন্তি সনৎ জয়াসুরিয়া ৪৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। দ্রুততম সেঞ্চুরির পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন আফ্রিদি। সে সময় আফ্রিদির বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর ২১৭ দিন।

সনৎ জয়াসুরিয়ার উপরই বেশি চড়াও  হয়েছিলেন আফ্রিদি। জয়সুরিয়ার ২ ওভার থেকে ৫টি ছক্কাসহ ৪৩ রান নেন তিনি। ৩৭ বলের ইনিংসে ১২টি ছিল ডট বল। হাকিয়েছিলেন ১১টি ছক্কা ও ৬টি চার। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ১০২ রান করে আউট হন আফ্রিদি।

দ্রুততম সেঞ্চুরির এই রেকর্ডটি ১৭ বছর আফ্রিদির দখলে ছিলো। ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারি ৩৬ বলে শতক হাকিয়ে রেকর্ডটি ভেঙ্গে দেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। তার ঠিক এক বছর পরই দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স সেঞ্চুরি হাঁকান মাত্র ৩১ বলে।

 

রেকর্ডটি ভেঙ্গে গেলেও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞগণ এখনও আফ্রিদির ইনিংসটাকেই এগিয়ে রাখেন। কারণ তিনি এমন একটি সময় ৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাকিয়েছিলেন যখন ক্রিকেটে কোনো পাওয়ার প্লে ছিলো না। ছিলো না ফ্রি হিট জাতীয় কোনো কিছু। সেই সময়ই করা আফ্রিদির ৩৭ বলে সেঞ্চুরিটি আজও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ইনিংস বলে বিবেচিত হচ্ছে।

 

সূত্র :  ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজ

 

//এমআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি