ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বেপরোয়া উত্তর কোরিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে : যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৫৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বেপরোয়া আচরণ অব্যাহত রাখলে উত্তর কোরিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি। তিনি বলেন, পিয়ংইয়ং লাগামহীন আচরণ করলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রক্ষায় দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের বিষয়টি বিবেচনা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না। স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন সিএনএনের ‘স্টেট অব দি ইউনিয়ন’ নামে একটি টক শোতে হ্যালি এ মন্তব্য করেন। খবর আলজাজিরার।


জাতিসংঘে মার্কিন দূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের উচিত যেকোনো ধরনের হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করা। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি ঠেকাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে থাকা সব ব্যবস্থা ফুরিয়ে গেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখাপেক্ষী হওয়া লাগতে পারে।


হ্যালি বলেন, এ পর্যায়ে এসে আমরা নিরাপত্তা পরিষদে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে ফেলেছি। এখন পুরো বিষয়টি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের হাতে ছেড়ে দিতে পেরে তিনি যারপরনাই খুশি। আমরা সম্ভাব্য সব বিষয় খতিয়ে দেখছি। তবে এখনো বহু সামরিক বিকল্প আমাদের হাতে আছে।


এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার বলেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনকে পরমাণু কর্মসূচি ছেড়ে দিতে হবে। কারণ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও নাগরিকদের ওপর বারবার পরমাণু অস্ত্রের হামলার হুমকি দেওয়া একটি শাসকগোষ্ঠীকে বরদাশত করবেন না।


ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ায় সামরিক হামলা শুরু করবেন কি না, জানতে চাইলে ম্যাকমাস্টার বলেন, ‘এ ব্যাপারে তিনি (ট্রাম্প) খুবই স্বচ্ছ যে, সব বিকল্পই মাথায় আছে।’


কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে আসছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। পৃথিবী থেকে দৃশ্যত বিচ্ছিন্ন দেশটি প্রতিবেশী দেশ জাপানের ওপর দিয়ে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা চালিয়েছে। এ ছাড়া সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমারও পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি