ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ভাসানচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে আদালতে রিট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৬, ২৫ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৫৯, ২৫ মে ২০১৮

ভাসানচর দ্বীপে (পুরানো নাম-ঠ্যাংগার চরে) রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। হাইকোর্টের আপিল ডিভিশনের বিচারপতি নাঈমা হায়দারের বেঞ্চে জনস্বার্থে রিট পিটিশনটি দাখিল করেন মনিরুল হুদা বাবন। রিটকারীর পক্ষে আদালতে লড়বেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন লালটু। মামলা নাম্বার ৭০৯৮।

রিট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার সাবেক নেমস্থি ইউনিয়নটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় তিন দশক আগে। সাগর থেকে জেগে উঠার পরে এর নাম দেওয়া হয় ঠ্যাংগারচর যা বর্তমান নাম ভাসানচর। চরটি বসবাস উপযোগী হয়ে উঠার পরে এর মালিকানা ফিরে পেতে গত বছর সরকারের কাছে স্যাটেলাইট ভূমি জরিপের দাবি জানায় `সন্দ্বীপ সীমানা রক্ষা কমিটি`। পরবর্তী সময়ে সরকার নোয়াখালি জেলার অন্তর্ভূক্ত করে এই চরের নাম দেয় ভাসানচর। এর পরে সেখানে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি উঠে আসে।

আন্তর্জাতিক শরণার্থী বিষয়ক আইনকে অমান্য করে বিরোধপূর্ণ অঞ্চল- উপকূল সন্দ্বীপে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে জনস্বার্থে আদালতে এই রিটটি দায়ের করা হয়। রিটটির মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট (স্বরাষ্ট্র -পররাষ্ট্র) মন্ত্রণালয়য়ের কাছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

মামলার বাদী মনিরুল হুদা বাবন একুশে টেলিভিশন অনলাইন বলেন, রোহিঙ্গাদের সন্দ্বীপের উপকূলে পুনর্বাসন করা হলে, সাড়ে চার লাখ সন্দ্বীপবাসীর জীবন হুমকির মুখে পড়বে। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ফলে মাদক, জঙ্গিবাদ এবং উগ্রপন্থী সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটবে যা দেশের ৫ কোটি উপকূলবাসীর জীবনকে অনিরাপদ করে তুলবে। তাই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আগামী রোববারে এই বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

কেআই/ এমজে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি