ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

মসলিনের স্বত্ব হারাতে পারে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪৮, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:২০, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের অন্যতম অনুসঙ্গ ‘ঢাকাই মসলিন’। এটি বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ড হলেও অখন্ড ভারতের অজুহাতে, ভারত মসলিনের গবেষণায় বড় বিনিয়োগ করে চলেছে। গবেষকরা বলছেন, দ্রুত উদ্যোগ না নিলে, মসলিনের স্বত্ব হারাতে পারে বাংলাদেশ। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক্ষেপ নেয়া হলে, দুই বছরেরও কম সময়ে শতভাগ বা এর কাছাকাছি মানসম্পন্ন মসলিন কাপড় তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তারা।

সূক্ষ সুতা আর তাঁতীদের বিশেষ বুনন কৌশলে অতীব স্বচ্ছ কাপড় তৈরি হতো বলেই, ‘ঢাকাই মসলিন’ এর বিশেষ কদর ছিলো মুঘল সম্রাট, এমনকি ব্রিটিশ রাজপরিবারেও। কিন্তু, শিল্প বিপ্লবের ধাক্কা আর ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রে চিরতরে বন্ধ যায়, মসলিনের ৪শ’ বছরের পথচলা। এমনকি, গেল একশ’ ৮০ বছরে, আনুষ্ঠানিকভাবে চাষাবাদ হয়নি, মসলিনের কাঁচামাল ‘ফুটি কার্পাস গাছ’ এর। 

সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিলো যে ঢাকাই মসলিনের, তার ঐতিহ্য খুঁজতে বিচ্ছিন্নভাবে চলছে গবেষণা। ফুটি কার্পাসের কাছাকাছি প্রজাতির তুলার গাছ নিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে। এই গাছের ‘সেন্টার অব অরিজিন’ যে গাজিপুরের কাপাসিয়া- সেটাও নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই তুলার সাথে, প্রকৃত মসলিনের সাদৃশ্য ৭০ ভাগ বলে, দাবি বে-সরকারি সংস্থা ‘দৃক’ এর।

তবে, মসলিনকে আদি রুপে ফেরাতে রয়েছে বেশকিছু চ্যালেঞ্জও। তার মধ্যে, প্রকৃত গাছের তুলা নিশ্চিত করা; ৪শ’ কাউন্টের উপরের সুতা তৈরি; কাপড় বুননে সেসময়ের মত দক্ষ তাঁতী তৈরি করা অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গবেষণা কর্মযজ্ঞ হতে হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে বলে জানান অধ্যাপক লুৎফর রহমান। এই মসলিন গবেষক জানান, জিন সিকোয়েন্স কিংবা জেনম সিকোয়েন্স করে, মালিকানা সুরক্ষিত না করলে, মসলিনের স্বত্ব হারানোর শংকাও রয়েছে।

আশার কথা, এরিমধ্যে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব রয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায়।  ভৌগলিকভাবে মসলিনের স্বত্বের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই আবেদন কপিরাইট এ গৃহীত হয়েছে বলে জানান তাঁত বোর্ডের এই কর্মকর্তা।

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি