ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে মুঠোফোন : গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ০৯:৫০, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

মোবাইল ফোনের (মুঠোফোন) রেডিয়েশনের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে মস্তিষ্কে। ভীষণ মাত্রায় ক্ষতি হচ্ছে নিউরন, ব্রেন সেল এবং এনজাইম সিস্টেমের। ফলে ক্যান্সারের মতো একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। উপকারি প্রোটিনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে শরীর এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও কমতে শুরু করে। সম্প্রতি তিরুবন্তপুরম কলেজ ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বর্তমানে সিংহভাগ মানুষ এক মূহুর্তের জন্য ফোনকে কাছ ছাড়া করতে চান না। কোনো কারণ ছাড়াই সারা দিন ধরে ফোনের স্কিনে খুট খুট চলতেই থাকে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে মাথার কাছে ফোন না রাখলে যেনো ঘুমই হয় না। এই কারণেই মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়ছে শরীরে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোনের শরীর থেকে উৎপন্ন রেডিয়েশনের কারণে ঘুমের প্রচণ্ড ব্যাঘাত ঘটছে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক, নানাবিধ হার্টের রোগ, হাই ব্লাড প্রেসার, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। মাথার কাছে ফোন রেখে শোয়ার কারণে যে ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, সেগুলো হলো-

১.ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বাড়ছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাথার কাছে ফোন রেখে ঘুমালে শরীরে রেডিয়েশনের প্রভাবে কোষের বিকাশে বাঁধার সৃষ্টি হয়। ফলে নানাবিধ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মক বৃদ্ধি পায়।

২.আজ থেকেই মুঠোফোনের অ্যালার্ম ব্যবহার বন্ধ করুন: অ্যালার্ম সেট করার পর তা বন্ধ না করা পর্যন্ত মোবাইলের শরীর থেকে অদৃশ্য তরঙ্গ বের হতে থাকে, যার প্রভাবে শরীর এবং মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়।

৩.সারা রাত ফোন চার্জ দেওয়া চলবে না: বেশি মাত্রায় মোবাইল ফোন চার্জ হয়ে গেলে যে কোনও সময় ব্যাটারি ফেটে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই যদি মাঝ রাতে পুড়ে মরতে না চান, তাহলে মাথার কাছে ফোন রেখে চার্জ দেওয়া বন্ধ করুন।

৪.ঘুমানোর সময় ফোনটা যেখানে রাখা উচিত: দুটো কাজ করতে পারেন। এক, ফোনটা বন্ধ করে ডাইনিং টেবিলে রেখে নিশ্চিন্তে বিছানয় ঘুমোতে যেতে পারেন। আর যদি একান্তই ফোনটা বন্ধ করতে না চান, তাহলে ফোনটা চালু রেখেই দূরের কোনো ঘরে চালান করে দিন। এমনটা করলে অন্তত রেডিয়েশনের বিষ গিলে মরতে হবে না আপনাকে।

৫. ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচতে আরও কিছু উপায়: যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা প্রয়োজন-

১. ফোনে কথা বলা কমান। এছাড়া এক কানে দিয়ে ফোনে কথা বলবেন না। কয়েক মিনিট পর পর কান বদল করুন।

২. হেড ফোন ব্যবহার করলে ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৩. সিগনাল যেখানে ভালভাবে না আসলে ভুলেও ফোন কল রিসিভ করবেন না। কারণ সিগনাল দুর্বল থাকার সময় ফোন থেকে বের হওয়া রেডিও ওয়েভের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ব্রেনের উপর খুব খারাপ প্রভাব পরে।

৪. প্যান্টের পকেটে অথবা বুক পকেটে ভুলেও ফোন রাখবেন না। এতে শরীরের একাধিক অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

একদল অষ্ট্রেলিয়ান গবেষক একটি পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, শরীরের কাছাকাছি বেশি সময় মোবাইল ফোন রাখলে স্পার্ম কাউন্ট চোখে পরার মতো কমে যায়। ফলে বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তবে গবেষকরা লক্ষ করে দেখেছেন ঘুমনোর সময় শরীর থেকে মোবাইল ফোনটিকে যদি কম করে ৩ ফুট দুরত্বে রাখা যায়, তাহলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। এবার সিদ্ধান্ত আপনিই নিন, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করবেন…

সূত্র: বোল্ডস্কাই

একে// এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি