ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:০৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আজ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ হাতে হাতে বসন্তে ফোটা ফুলের স্তবক, কণ্ঠে চির অম্লান সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী/ আমি কি ভুলিতে পারি...’ ধীর পায়ে এগিয়ে যাবে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। ভাষা শহীদদের প্রতি নিবেদিত শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ঢেকে যাবে শহীদ মিনারের বেদি।

দেশের বীর সন্তানেরা মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে আজ থেকে ৬৬ বছর আগে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন ঢাকার রাজপথ। বাংলা মায়ের  সন্তানেরা পৃথিবীর ইতিহাসে সৃষ্টি হয়েছিল মাতৃভাষার জন্য আত্মদানের অভূতপূর্ব নজির।

মাতৃভাষার জন্য বাঙালি সন্তানদের আত্মদানের এই অনন্য ঘটনা স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। বাঙালির সাথে আজ সারা বিশ্বেই দিবসটি পালিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায়, মূল মিনারসহ চারদিকে নতুন রং করা হয়েছে। মিনারের পাশেই ফুটন্ত পলাশ শোভা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আলপনা ও সাজসজ্জার কাজ শুরু হয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। যা মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই শেষ হয়।

দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন,  বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা আজ অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস। তিনি বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী ভাষা শহিদ রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অন্যান্য শহীদদের। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’এর নেতৃত্ব দেন এবং কারাবরণ করেন। স্মরণ করি তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে যিনি পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে ঐতিহাসিক প্রস্তাব তুলে ধরেন। আমি স্মরণ করি ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহসহ সকল ভাষা সংগ্রামীকে, যাঁদের দূরদৃষ্টি, অসীম ত্যাগ, সাহসিকতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। বাঙালি পায় মাতৃভাষার অধিকার।’

দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  ‘আসুন দল-মত নির্বিশেষে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখি। সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। প্রতিষ্ঠা করি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।’

মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এ দিনে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বারসহ আরও অনেকে।

প্রধানমন্ত্রী ভাষা শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। একইভাবে তিনি শ্রদ্ধা জানান বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।

 

আর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি