ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মিশরে মসজিদে হামলার নেপথ্যে কারা?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৯, ২৯ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১০:৫৪, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

মিশরে গত শুক্রবার মসজিদে হামলায় কমপক্ষে ৩০৫ সূফী মুসল্লী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। নিহতদের মধ্যে ২৭ শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে। এই হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকে দায়ী করে ইতোমধ্যে দক্ষিণ সিনাইয়ে বিমান হামলা শুরু করেছে দেশটির বিমান বাহিনী।

দক্ষিণ সিনাইয়ে জঙ্গিদের ঘাঁটি আছে, এমন অভিযোগে অঞ্চলটিতে বিমান হামলা চালাচ্ছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ। এতে সিসির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দক্ষিণ সিনাইয়ের একটি সূফীপন্থীদের মসজিদে বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় গুলি চালিয়ে ৩০৫ মুসল্লীকে হত্যা করে তারা। ঘটনার পরপরই হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন মিশরের স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এরপরই ওই এলাকায় শুরু হয় বিমান হামলা। কর্তৃপক্ষের দাবি ওই এলাকায় ব্যাপক জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে।

তবে মিডল ইস্ট মনিটরের এক মতামত কলামে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আমিরা আবে আল ফাতে দাবি করেন, মিশরে যে মসজিদে বোমা হামলা চালানো হয়েছে তার কয়েক মিটারের মধ্যে সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকি রয়েছে। হামলা চলাকালে ওই সেনাবাহিনী কোথায় ছিল বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

শুধু তাই নয়, ওই মসজিদে আসতে তল্লাশি চৌকির মুখোমুখি হতে হয় প্রত্যেক মুসল্লীকে। তবে ওইদিন কেন তল্লাশি করা হয়নি ? ৩০-৪০ সন্ত্রাসী ৫-৬টি  গাড়ি নিয়ে কিভাবে মসজিদ এলাকায় প্রবেশ করলো ? সেনাবাহিনী ওইদিন কি করেছিল ? তাঁদের কি কেবলই দায়িত্বের অবহেলা না কি উপরের মহলের নির্দেশ? এসব প্রশ্ন তোলেন ড. আমিরা।

এদিকে হামলার পরপরই এক বক্তব্যে ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, এ হামলা আমাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বিরুদ্ধে হামলা। শুধু তাই নয়, সিনাই প্রদেশে বিমান হামলা চালানোকে তিনি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে হামলা বলে মন্তব্য করেছেন। তবে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, বিশ্ব কি সিসিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হামলার নেতৃত্ব দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে ?

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর মিশরে বিরোধীদলগুলো পর্যুদস্ত হয়ে পড়লেও সম্প্রতি বিরোধীদলগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্প্রতি মিশরের রাস্তায় বিরোধীদলগুলোকে বিক্ষোভ করতেও দেখা গেছে। এছাড়া বিরোধী দলের প্রধান আয়মান নূর সিসিকে স্বৈরশাসনের জনক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, মিশরকে সিসি স্বৈরশাসনের আঁতুড়ঘর বানিয়ে ফেলেছে।

বিশেষ করে সিনাই প্রদেশে সিসি বিরোধীরা সংগঠিত হচ্ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই এলাকায় কিভাবে আন্দোলন দমানো যায় তারই ছক করছিল সিসি, এমন অভিযোগ আনেন ড. আমিরা আল আবে। এই হামলার সঙ্গে সিসির কোন যোগসাজশ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর দায়িত্বে অবহেলা থাকলে, দ্রুত তাঁদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

এমজে/এমআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি