ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

‘মুক্তামনির পরিবার ভেবেছিল আর লাভ হবে না’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৫, ২৩ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৩:১৬, ২৩ মে ২০১৮

সাতক্ষীরায় বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামণির মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন তার চিকিৎসক বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী সামন্তলাল সেন। তিনি বলেন, মুক্তামনি কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিল। আমি বলেছিলাম ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তার পরিবার ভেবেছিলো আর কোনো লাভ হবে না। তাই তারা আসেনি।

বুধবার সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের নিজ বাড়িতেই মৃত্যু হয় ১২ বছর বয়সী শিশুটির।

সামন্তলাল সেন বলেন, আমি ডাক্তার পাঠিয়েছিলাম মুক্তামনির বাড়িতে। অ্যাম্বুলেন্সও গিয়েছিল। আজ সকালে মারা যায় মেয়েটা। আমি এ ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমাবেদনা জানাচ্ছি।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, কয়েকদিন ধরেই মুক্তামনির শরীর ভালো যাচ্ছিল না। হাতের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণায় নির্জীব হয়ে পড়ছিল সে। টানা ছয় মাসের উন্নত চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া মুক্তামনির ক্ষতস্থানে ফের পচন ধরে। ডান হাতের ক্ষত স্থানের পচা জায়গা থেকে বেরিয়ে আসছিল ছোট-ছোট পোকাও।

মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘গত কয়দিন ধরেই মুক্তার অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। আজ ভোরে বমি শুরু হয়। একবার পানি খেতে চাইল। ওর দাদি গেল পানি আনতে। পানি আনতে আনতে সব শেষে।’

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার ১২ বছরের শিশু মুক্তামণি দেড় বছর বয়সে হেমানজিওমা রোগে আক্রান্ত হয়েছিলো। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও কোনও চিকিৎসা হয়নি। তার বিরল রোগের কারণে সংবাদমাধ্যমে গতবছর তার সম্পর্কে ব্যাপকভাবে খবর প্রচার পায়। এরপর ঢাকায় কয়েকমাস ধরে তার চিকিৎসা চলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জটিল ও বিরল রোগী মুক্তামনির চিকিৎসা চলছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে।

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি