ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

মুসার মুদ্রা পাচার মামলার প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মুদ্রা পাচার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়েছে। গুলশান থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিন ছিল আজ ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নাহার ইয়াসমীন আগামী ১৮ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী’র আদালতে মামলাটির এজাহার দাখিল করলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি গাড়ি ব্যবহারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের দুই মাস পর মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে ওই মামলা দায়ের করেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন।

‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় জনৈক ফারুক উজ-জামান চৌধুরীর নামে নিবন্ধিত ওই রেঞ্জ রোভার গাড়ি গত ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বা বিআরটিএ এর ভোলা জেলা কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে ভুয়া কাগজ দিয়ে ওই গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছিল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ থেকে বলা হয়, মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। কিন্ত শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য।

শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে।

“কিন্তু তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিস দিলেও তিনি তা জমা দেননি,” মামলার পর বলেছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক মঈনুল।

ওই তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সুপারিশও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। পাশাপাশি ফাঁকি দেওয়া অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর মুদ্রা পাচারের মামলাটি হয়।

জনশক্তি রপ্তানি দিয়ে মুসার ব্যবসার শুরু হলেও তার পরিচয় দিতে গিয়ে অস্ত্র ব্যবসার কথাই বেশি আসে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে। বিলাসি জীবন-যাপনের কারণে বিদেশি গণমাধ্যমে অনেক সময় তাকে বলা হয় ‘প্রিন্স অব বাংলাদেশ’।

১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যে নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী টনি ব্লেয়ারের নির্বাচনী প্রচারের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের এই ব্যবসায়ী।

একটি দৈনিকে সুইস ব্যাংকে মুসা বিন শমসেরের ৫১ হাজার কোটি টাকা থাকার খবর ছাপা হয়েছিল। তবে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গত বছর মুসা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলাদেশে বসে কেউ এত অর্থ উপার্জন করতে পারবে না।

এসএইচ/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি