ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

মেগানের প্রথম সংসার ভাঙে যে কারণে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৭, ২০ মে ২০১৮ | আপডেট: ১০:৩১, ২১ মে ২০১৮

মেগান মার্কেল ও প্রিন্স হ্যারির বিয়ে নিয়ে যখন বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় তখন সেই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালে মেগানের স্বাবেক স্বামীর নিরুদ্দেশ হওয়া। গতকাল হঠাৎ করেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মেগানের সাবেক স্বামী ট্রেভর এঙ্গেলসনের। এর পরই অনেকের মনেই এই প্রশ্ন দেখা দেয় যে, কী কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের ৩৬ বছর বয়সী নতুন সদস্য মেগানের প্রথম প্রেম কে ছিলেন, সেটা জানা না গেলেও তাঁর প্রথম স্বামীর নাম ট্রেভর এঙ্গেলসন। পেশায় ছবির প্রযোজক এই আমেরিকানের সঙ্গে ২০০৪ সালে মন দেওয়া-নেওয়া সারেন মেগান। এরপর অনেক বসন্ত কেটে যায়। দুজন চুটিয়ে প্রেম করেন।
২০১০ সালের দিকে এসে তাঁরা ভাবলেন, সম্পর্কটা আরেকটু পাকা করা যাক। আংটি বদল করেন ওই বছরই। বছর খানেক অপেক্ষার পর ২০১১ সালে ট্রেভরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। জ্যামাইকায় তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানও ছিল জাঁকালো।
২০০৪ থেকে ২০১১ সাল। এত বছর প্রেমের পর বিয়েটাই টিকল না খুব বেশি দিন। মাত্র দুই বছর পর, ২০১৩ সালে তাঁরা আলাদা থাকা শুরু করেন। ওই বছরই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
ঠিক কী কারণে ওই বিচ্ছেদ হয়েছিল, সেটা এখনো পরিষ্কার হওয়া যায়নি। তবে আলোচনা আছে, টরোন্টোতে ‘স্যুটস’ সিরিজের শুটিংয়ের সময় মেগানের কিছু একটা হয়েছে। তবে এই কিছু একটা কী, সেটা নিয়ে রয়েছে রহস্য।
পরে অবশ্য মেগানের ঘনিষ্ঠজনেরা বিভিন্ন সময়ে দাবি করেন, ব্যস্ততার কারণে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। যেটা তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানতে বাধ্য করে শেষ পর্যন্ত।
মেগানের কাছের এক বন্ধু কিছুটা ব্যাখ্যাও করেছেন এই বিচ্ছেদের, ‘মেগান শুটিংয়ের কাজে টরোন্টো পড়ে থাকতেন। আর ট্রেভর লস অ্যাঞ্জেলেসে। বিমানে পাঁচ ঘণ্টার লম্বা ভ্রমণ। এভাবে কোনো বিবাহিত জীবন চলতে পারে না।’ সম্পর্কটা এতই তিক্ত হয়ে যায় যে তালাকের পর মেগান নাকি বিয়ের আংটি পর্যন্ত ট্রেভরকে ফেরত পাঠান।
ট্রেভরের প্রযোজিত ছবিগুলোর মধ্যে ‘লাইসেন্স টু ওয়েড’,‘অল অ্যাবাউট স্টিভ’উল্লেখযোগ্য। ৯/১১-এর ঘটনার ওপর নির্মিত আলোচিত ছবি ‘রিমেম্বার মি’ ট্রেভরের প্রযোজনাতেই বানানো।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি