ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪

যমজ সন্তান নিয়ে অজানা ৪ তথ্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৫, ৯ জুলাই ২০১৮

অনেক সময় একই চেহারার দুইজন মানুষকে দেখে আমরা থমকে যাই। কিছুক্ষণ পর অবশ্য বুঝে যাই যে তারা যমজ।

 যমজ মানুষদেরকে নিয়ে কিন্তু কমবেশি সবারই কৌতূহল কাজ করে, আর সেটাই মনে হয় স্বাভাবিক।

যমজ সন্তানের মায়েদের উপর গবেষণা চালিয়ে ‘জার্নাল অব রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, যেসব নারীর উচ্চতা বেশি তাদের যমজ সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বেশি।

ভাবছেন, মায়ের উচ্চতার সঙ্গে যমজ সন্তান জন্মদানের সম্পর্ক কি! সম্পর্ক আছে।

আমাদের শরীরের বেড়ে ওঠার জন্য কিছু বিশেষ বিষয় কাজ করে, যেগুলিকে “গ্রোথ-ফ্যাক্টর” বলা হয়, যে বিষয়গুলির একটি হচ্ছে ইনসুলিন নামের এক বিশেষ ধরণের প্রোটিন।

এই ইনসুলিন বোন সেলের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে একই সঙ্গে মেয়েদের লম্বা হওয়ার প্রবণতা ও যমজ সন্তান জন্মদানের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রিত করে।

১) যমজদের আচরণগত ভিন্নতা

বিজ্ঞানের ভাষায় ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’ বলে একটা কথা আছে। যে সব যমজের দেখতে হুবহু একই রকম, তাদের ক্ষেত্রেই ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এদের শরীরে একই ধরণের জিন বহন করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের আচরণ সম্পূর্ণ আলাদা।

গবেষকদের মতে, একই চেহারার যমজদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্য তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দায়ী হতে পারে।

পরিবেশের কারণে, এই যমজদের শরীরে থাকা জিন-এ কিছু পরিবর্তন চলে আসে। যার ফলে যমজদের আচরণ আলাদা হয়ে যায়। নিচে যমজদের নিয়ে আরো কিছু মজার তথ্য দেওয়া হলো।

 

২) যমজদের হাতের রেখায় ভিন্নতা

আপাত দৃষ্টিতে দেখতে একই রকম মনে হলেও তাদের হাতের রেখায় পার্থক্য থাকে। সেই সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপও আলাদা হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় অবস্থানগত সামান্য ভিন্নতা জন্মের পর যমজদের বিভিন্ন সূক্ষ্ম দৈহিক পার্থক্যের কারণ হতে পারে।

৩) ঘ্রাণ শুঁকে যমজদের আলাদাভাবে চিনতে পারে কুকুর

সাধারণ মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হুবহু একই চেহারার যমজদের আলাদা করতে পারেন না।

কিন্তু প্রশিক্ষিত কুকুরদের জন্য এটা তেমন কোন ব্যপারই নয়। তারা শরীরের গন্ধ শুঁকে একই চেহারার যমজদের  আলাদা করে চিনতে পারে।

৪) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান

সাম্প্রতিককালে যমজ সন্তান জন্মের হার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এর বৃদ্ধির হার ৭৬ শতাংশ।

১৯৮০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদ্যভূমিষ্ঠ প্রতি ৫৩ শিশুর মধ্যে একজন যমজ হত।

২০০৯ সালের হিসেবে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ৩০ জনে একজন। এর কারণ কি?

গবেষকদের মতে, বর্তমানে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ত্রিশের বেশি বয়সের নারীদের মধ্যেও দিন দিন যমজ সন্তান জন্মদানের প্রবণতা বাড়ছে।

সূত্র: জি নিউজ

/ এআর /

 

 

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি