ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসে ১৯ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৬, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

মৌলিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা পয়ঃনিষ্কাশনের সুযোগ না পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে গৃহহীনদের মধ্যে হেপাটাইটিস- ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে এরই মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত বছর নভেম্বর থেকে চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ায় ভাইরাল এই রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই গৃহহীনরা।

গত সপ্তাহে অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করেন। যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হেপাটাইটিস-এ এর প্রাদুর্ভাব ছড়াল।

মানবদেহের যকৃতে আক্রমণকারী এ ভাইরাস সাধারণত মলজাতীয় জিনিসের মাধ্যমে ছড়ায়। আবার যৌন সংসর্গ কিংবা জীবাণুবাহী খাবার ও বস্তু স্পর্শের মাধ্যমেও এটি এক দেঞ থেকে অন্য দেহে বিস্তৃত হতে পারে।

ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়োগে শহরেই ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। শহরটির কর্মকর্তারা ব্লিচিন ছিটিয়ে বিভিন্ন রাস্তাকে জীবাণুমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। রাস্তার পাশে বসানো হচ্ছে হাত ধোয়ার স্থানও।

বিশেষজ্ঞরা জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুযোগ না পাওয়ায় শহরের গৃহহীনদের মধ্যে হেপাটাইটিস-এ ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। তাদের মতে, সান ডিয়েগোতে পাঁচ হাজারেরও বেশি আশ্রয়হীন ব্যক্তি রাস্তায় ঘুমায়। শহরটিতে গৃহহীনদের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।

অঙ্গরাজ্যটির অন্যান্য শহরেরও হেপাটাইটিস-এ ছড়িয়ে পড়ছে। সান্তা ক্রুজ, লস এঞ্জেলসের পাশাপাশি উত্তর ক্যালেফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতেও হাজারো গৃহহীনকে এই ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু সাধারণ ব্যাপার হলেও গৃহহীনদের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

ভাইরাসটির উপসর্গ হলো- জ্বর, ক্লান্তি, পেট ব্যাথা, গা গুলানো ও বমি। আবার আক্রান্তের শরীরে জন্ডিস হতে পারে, চামড়া ও চোখ হলুদ হয়ে যেতে পারে।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন, অঙ্গরাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে গৃহহীনদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় এমন ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত টিকা ও প্রতিষেধক পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ভাইরাসটির তীব্রতা কমতে কয়েক মাস এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।  সূত্র: বিবিসি।

 

 

আর / এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি