ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

যে হৃদের পানির রঙ বদলায় নিয়মিত (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৮, ২৭ মে ২০১৮ | আপডেট: ১০:৩০, ৩১ মে ২০১৮

কয়েক মাস আগে যেখানে পানির রঙ সাদা, ফিরোজা নীল ও লাল ছিল, কয়েক মাস পরে তা দাঁড়ায় কালো, ফিরোজা নীল ও কোকাকোলা ব্রাউন রঙে। বলছি ইন্দোনেশিয়ার কেলিমুতু আগ্নেয়গিরির তিনটি হ্রদের কথা। হৃদ তিনটির পানির রঙ বদলানোর এ খেলা নিয়ে পর্যটকদের কৌতহলের শেষ নেই। তবে আজও ভেদ হয়নি এর রহস্য।
কেলিমুতুর পশ্চিম প্রান্তের হ্রদ তিওউ আতা ম্‌বুপু-র রঙ সাধারণত নীল। আর দু’টি হ্রদ তিওউ নুওয়া মুরি কু ফাই ও তিওউ আতা পোলো-র রঙ যথাক্রমে সবুজ এবং লাল। কিন্তু এই রঙ সর্বদা এক থাকে না। প্রায়শই এরা রঙ বদলায়।
বদলাতে বদলাতে মাঝে মাঝে কালোও হয়ে য়ায় হ্রদের পানি। কয়েক মাস আগে যেখানে জলের রঙ সাদা, ফিরোজা নীল ও লাল ছিল, কয়েক মাস পরে তা দাঁড়ায় কালো, ফিরোজা নীল ও কোকাকোলা ব্রাউন। এই ঘটনা ২০০৯-এর। আবার ২০১০ এ তিনটি হ্রদের পানির রঙই সবুজের তিন রকম শেড হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলাশয়ের পানির রঙয়ের জন্য দায়ী থাকে ওই জলে অবস্থানরত ব্যাকটেরিয়া, শ্যওলা ইত্যাদি। কিলিমুতুর হ্রদগুলির রং-রহস্য কিন্তু সেদিকে হাঁটে না। অনেকে মনে করেন এই রং-বাহারের পিছনে আগ্নেয়গিরির গ্যাসের কিছু ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কিছু নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না।
হ্রদগুলির স্থানীয় নামগুলি বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এগুলি যথাক্রমে— বৃ্দ্ধের হ্রদ, যুবকদের হ্রদ এবং মন্ত্রঃপূত হ্রদ। স্থানীয় বিশ্বাস হচ্ছে- পরলোকের সঙ্গে এই হ্রদগুলির যোগ রয়েছে। লোকবিশ্বাস অনুসারে, পরলোকের দেবতা মায়ে বিগত আত্মাদের কৃতকর্ম অনুযায়ী এক একটি হ্রদে প্রেরণ করেন। কিন্তু গল্পকথা আর কিংবদন্তিকে সরিয়ে এই হ্রদগুলির রহস্য উদ্ঘাটন আজও হয়নি।  

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভিডিও দেখুন...


/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি