ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আপিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৫৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করেন তাঁর আইনজীবীরা।
সোমবার বিকেলে বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামানের কার্যালয় থেকে মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিঞা।
আজ বিকেল তিনটার দিকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি জমা দেন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল।
নথিপত্রসহ ১২২৩ পৃষ্ঠার ওই আবেদনে ফাইলিং লইয়ার হিসেবে আবদুর রেজাক খানের নাম রয়েছে। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালেদার জিয়ার খালাস চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে।
রেজাক খান গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিল প্রস্তুত করে তা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল ও জামিন আবেদনের প্রস্তুতিতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বৈঠকে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, দুদক আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ এই মামলার রায় দেন। এতে খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির জন্য পাঁচ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও জরিমানা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
রায়ের দিন আদালত ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সার সংক্ষেপ পড়েন। রায়ের অনুলিপি এক হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠার। রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি